প্রিয় শিক্ষাথীর্, আজ তোমাদের জন্য বাংলা দ্বিতীয়পত্র থেকে বাক্য নিয়ে আলোচনা করা হলো
বাক্য
৩। বাক্য কাকে বলে? অথর্গত দিক থেকে বাক্য কত প্রকার ও কী কী? আলোচনা করো।
উত্তর : সুবিন্যস্ত অথর্যুক্ত শব্দগুলোর দ্বারা বক্তার মনের ভাব সম্পূণর্রূপে প্রকাশ পেলে তাকে বাক্য বলে।
অথর্গত দিক থেকে বাক্য সাত প্রকার।
যথা :
১. বিবৃতিমূলক : এ ধরনের বাক্যে সাধারণত কোনো কিছুর বিবৃতি বা বণর্না নিদেির্শত হয়।
যেমন : আমি বই পড়েছি, সে স্কুলে যায়নি।
২। প্রশ্নবোধক : এ শ্রেণির বাক্যে প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা করা হয়।
যেমন : তোমার নাম কী? তুমি কি গান গাইতে পারো?
৩। আদেশসূচক : এ শ্রেণির বাক্যে আদেশ, নিষেধ, উপদেশ, অনুরোধ ইত্যাদি বোঝায়।
যেমন : স্কুলে যাও। মারামারি করো না।
৪। প্রাথর্নাসূচক : এ শ্রেণির বাক্যে বক্তার কোনো কিছুর প্রাথর্না করা বোঝায়।
যেমন : আল্লাহ তোমার মঙ্গল করুক। তুমি বড় হও।
৫। অপেক্ষাসূচক : এ শ্রেণির বাক্যে একটি ঘটনার ওপর আরেকটি ঘটনার নিভর্রশীলতার সম্বন্ধ স্থাপিত হয়।
যেমন : তুমি না এলে ভালো লাগে না।
৬। সন্দেহসূচক : এ শ্রেণির বাক্যে বক্তার মনের সংশয় বা সন্দেহ প্রকাশ পায়।
যেমন : আজ বোধ হয় বৃষ্টি হবে।
৭। আবেগসূচক : এ শ্রেণির বাক্যে আনন্দ, শোক, আবেগ, বিস্ময় ইত্যাদি প্রকাশ পায়।
যেমন : ছি! তুমি এটি করতে পারলে! হায়! আমার পোড়া কপাল!
অথবা বাক্যান্তর করা :
ক. সরল থেকে জটিল বাক্য করার নিয়ম :
সরল বাক্য থেকে জটিল বাক্য করতে হলে সরল বাক্যে কোনো অংশকে খÐ বাক্যে রূপান্তর করতে হয় এবং উভয়ের সংযোগ বিধানে সম্বন্ধসূচক
(যদি.. .তবে, যে.. . সে, যারা.. .তারা ইত্যাদি) পদ যোগ করতে হয়।
খ. জটিল বাক্যকে সরল বাক্য করার নিয়ম :
জটিল বাক্যকে সরল বাক্যে রূপান্তর করার সময় জটিল বাক্যে খÐ বাক্যটি সংকোচিত করে বাক্য থেকে সম্বন্ধসূচক (যদি.. .তবে, যে.. . সে, যারা.. .তারা ইত্যাদি) পদ উঠিয়ে দিতে হয়।