প্রিয় শিক্ষাথীর্, আজ তোমাদের জন্য বাংলা দ্বিতীয়পত্র থেকে বাগধারা নিয়ে আলোচনা করা হলো।
বাগধারার ব্যবহার
বাগধারা অথর্ বাক্যরচনা
ঘোড়া ডিঙিয়ে মধ্যবতীের্ক অতিক্রম - বড় বাবুকে না জানিয়ে বড় সাহেবকে বলা,
ঘাস খাওয়া করে কাজ করা ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়ার মতো।
চক্ষুদান করা চুরি করা - কে আমার কলমটার চক্ষুদান করল?
চাঁদের হাট আনন্দের প্রাচুযর্ - ধনেজনে চৌধুরী সাহেবের সংসার যেন চাঁদের হাট।
চিনির বলদ ভারবাহী কি ফল লাভের - সংসারে চিনির বলদের মতো খেটে মরছি, কিছুই পাই না।
অংশীদার নয়
চোখের বালি চক্ষুশূল - বখাটে ছেলেটা সকলের চোখের বালি।
চোখের পদার্ লজ্জা - তোমার দেখছি চোখের পদার্ নেই; কেমন করে এ কাজ করলে?
ছকড়া নকড় সস্তা দর - নিলামের মাল, তাই ছকড়া নকড়ায় বিক্রি হয়ে গেল।
ছাপোষা অত্যন্ত গরিব - আমার মতো ছাপোষা লোকের কোনো শখ থাকতে নেই।
ছিনিমিনি খেলা নষ্ট করা - পরের টাকায় ছিনিমিনি খেলতে লজ্জা করল না?
ছেলের হাতের মোয়া সহজলভ্য বস্তু - রতœহার ছেলের হাতের মোয়া নয় যে চাইলেই পাবে।
জগাখিচুড়ি পাকানো গোলমাল বাধানো - ব্যাপারটা জগাখিচুড়ি পাকিয়ে সে সরে পড়ল।
জিলাপির প্যঁাচ কুটিলতা - ভালোমানুষ মনে হলেও তার ভেতরে রয়েছে জিলাপির প্যঁাচ।
ঝোপ বুঝে কোপ মারা সুযোগ মতো কাজ করা - ঝোপ বুঝে কোপ মারতে পেরেছে বলেই সে কৃতকাযর্ হয়েছে।
টনক নড়া চৈতন্যোদয় হওয়া/ বুঝে ওঠা - ব্যবসায় ক্ষতি হতেই তার টনক নড়ল।
ঠাট বজায় রাখা অভাব চাপা রাখা - অভাবে পড়লেও তিনি ঠাট বজায় রেখে চলেছেন।
ঠোঁটকাটা বেহায়া - তোমার মতো ঠোঁট কাটা ছেলে আর দেখিনি, মুখের ওপর এ কথা বললে।
ঢাক ঢাক গুড় গুড় গোপন রাখার চেষ্টা - ঢাক ঢাক গুড় গুড় করে লাভ কী, ব্যাপারটা খুলে বল।
তালকানা বেতাল হওয়া - চোখে চশমা, আর চশমা খুঁজে বেড়াচ্ছে, আচ্ছা তালকানা লোক।