প্রিয় শিক্ষাথীর্, আজ তোমাদের জন্য বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় থেকে সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর দেয়া হলো
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
প্রথম অধ্যায়
১। সারণি-ক
সারণি-খ
ক) পাকিস্তানি শাসনামলে বাঙালিদের জাতীয় মুক্তির প্রথম আন্দোলনের নাম ‘ভাষা আন্দোলন।’
খ) ‘ছয় দফা’ কে কেন বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ বলা হয়?
গ) সারণি-ক থেকে পূবর্ পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর যে বৈষম্য ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ) সারণি-খ এ প্রদশির্ত বৈষম্যের পরিপ্রেক্ষিতে পূবর্ পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের অথৈর্নতিক প্রকৃত অবস্থা মূল্যায়ন কর।
ক) উত্তর : পাকিস্তানি শাসন আমলে বাঙালিদের জাতীয় মুক্তির প্রথম আন্দোলনের নাম ভাষা আন্দোলন।
খ) উত্তর : ঐতিহাসিক ‘ছয় দফা’-র প্রবতর্ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পূবর্ বাংলার জনগণের প্রতি পাকিস্তান রাষ্ট্রের চরম বৈষম্যমূলক আচরণ ও অবহেলার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম গভীর ও সুস্পষ্ট রূপ লাভ করে ছয় দফার স্বায়ত্তশাসনের দাবিনামায়। ছয় দফা পূবর্ পাকিস্তানের জনগণের অথৈর্নতিক, রাজনৈতিক, সামরিকসহ সব অধিকারের কথা তুলে ধরে। এ কমর্সূচি বাঙালির জাতীয় চেতনামূলে বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতার কথা বলা না হলেও এ ছয় দফা কমর্সূচি বাঙালিদের স্বাধীনতার মন্ত্রে গভীরভাবে উজ্জীবিত করে। তাই ছয় দফাকে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ বলা হয়।
গ) উত্তর : ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকেই পশ্চিম পাকিস্তান পূবর্ পাকিস্তানের প্রতি সবির্দক থেকে বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করে। সে মোতাবেক প্রদত্ত সারণি ‘ক’-তে পূবর্ পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর সামরিক বৈষম্য ফুটে উঠেছে। সেখানে একশত সেনা কমর্কতার্ নিয়োগ করা হলে পূবর্ পাকিস্তান থেকে নিয়োগ দেয়া হতো মাত্র পঁাচ জনকে। সাধারণ সৈনিক নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রেও এ বৈষম্য চরম আকার ধারণ করে। একশ জনের মধ্যে চার জন পূবর্ পাকিস্তানের আর বাকি ছিয়ানব্বই জন পশ্চিম পাকিস্তানের। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হওয়া সত্তে¡ও নৌবাহিনীর উচ্চপদের কমর্কতার্ নিয়োগের ক্ষেত্রে একশ জনের মধ্যে একাশি জন পশ্চিম ...