প্রিয় পরীক্ষার্থী, আজ তোমাদের জন্য বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় থেকে সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
১.
উদ্দীপকটি পড়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
'ক' ব্যক্তি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে তার সিদ্ধান্তই মুখ্য। তারই দলের মনোনীত 'খ' ব্যক্তি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল আছেন। 'ক' ব্যক্তি আদালত কর্তৃক দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির শাস্তি মওকুফ করতে না পারলেও 'খ' ব্যক্তি তা পারেন।
প্রশ্ন: ক. কে রাষ্ট্রের কাজের সমন্বয় করে থাকেন?
প্রশ্ন: খ. পৌরসভার শিক্ষাসংক্রান্ত কাজের ব্যাখ্যা দাও।
প্রশ্ন: গ. উদ্দীপকে 'ক' ব্যক্তির নেতৃত্ব প্রধান সম্পর্কিত কাজের বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন: ঘ. উদ্দীপকে উলিস্নখিত 'ক' ও 'খ' ব্যক্তিদ্বয়ের কাজের সমন্বয়ের ওপরই রাষ্ট্রের উন্নয়ন কর্মকান্ড নির্ভর করে। তোমার মতামত ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ক. প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের কাজের সমন্বয় করে থাকেন?
উত্তর: খ. শহর এলাকার স্থানীয় শাসনসংক্রান্ত সংস্থাটির নাম পৌরসভা। বাংলাদেশের প্রত্যেক পৌর এলাকার জন্য একটি করে পৌরসভা আছে। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সদস্য নিয়ে পৌরসভা গঠিত হয়। পৌরসভা শহর এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ও উন্নয়নকল্পে বহুবিধ কাজ করে থাকে। তার মধ্যে শিক্ষাসংক্রান্ত কাজ অন্যতম। পৌরসভায় শিক্ষাসংক্রান্ত কার্যাবলি হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হোস্টেল নির্মাণ, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান, দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান, বিনামূল্যে বই বিতরণ, বাধ্যতামূলক গণশিক্ষার ব্যবস্থাকরণ ইত্যাদি। এগুলোই পৌসভার উলেস্নখযোগ্য শিক্ষাসংক্রান্ত কার্যাবলি।
উত্তর: গ. উদ্দীপকের 'ক' ব্যক্তি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত একজন সংসদ সদস্য। তিনি জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন তার নিজ এলাকায়। জাতীয় সংসদেও একজন সদস্য হিসেবে তিনি তার নির্বাচনি এলাকার একজন নেতা। স্থানীয় নেতা হিসেবে তিনি কাজ করেন সংসদে। সংসদের সদস্য হিসেবে পদাধিকার বলে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর তিনি নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে তাদের অভাব, অভিযোগ এবং প্রয়োজনীয় সমস্যা সমাধান করা তার দায়িত্ব। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তিনি নিজ দলের একজন নেতা, অঞ্চলের নেতা এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একজন অংশীদার হিসেবে জাতীয় ক্ষেত্রেও নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন।
উত্তর: ঘ. উদ্দীপকের 'ক' ব্যক্তি একজন সংসদ সদস্য এবং 'খ' রাষ্ট্রপতি। সংসদ সদস্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত এবং রাষ্ট্রপতি সংসদ কর্তৃক নির্বাচিত একজন নেতা। সংসদ সদস্য সরকারের আইনসভার প্রতিনিধি। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি আইনসভার প্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধান। জাতীয় সংসদ দেশের জন্য আইন তৈরি করে, সংশোধন করে, অর্থসংক্রান্ত কার্যাবলি সম্পাদন করে, সংবিধান সংশোধন করে। সংসদের এ ধরনের কাজের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির সম্মতির প্রয়োজন হয়। রাষ্ট্রপতি সম্মতি না দিলে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যার সৃষ্টি হয়। সংসদ ও রাষ্ট্রপতির যৌথ নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হয়। তাই দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য রাষ্ট্রপতি ও সংসদের কাজের সমন্বয় প্রয়োজন। সমন্বিত কাজের মাধ্যমে সংসদ ও রাষ্ট্রপ্রধান মিলে একটি দেশকে তার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারেন। তাই উদ্দীপকের 'ক' ও 'খ' ব্যক্তিদ্বয়ের কাজের সমন্বয়ের ওপরই রাষ্ট্রের উন্নয়ন কর্মকান্ড নির্ভর করে।
২.
উদ্দীপকটি পড়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
'ক' নামক একটি দেশের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রেণির পরামর্শ গ্রহণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় একজন আইনজীবী বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে একটি কমিশন। এখানে একজন প্রধান আর কয়েকজন সহকারী কমিশনার হিসেবে কাজ করবেন। যিনি প্রধান তিনি আবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।
প্রশ্ন: ক. গণতন্ত্র সম্পর্কে অধ্যাপক ফাইনারের উক্তিটি কী?
প্রশ্ন: খ. পরোক্ষ নির্বাচন বলতে কী বোঝো? ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন: গ. উদ্দীপকে আইনজীবী যে ধরনের কমিশনের পরামর্শ দিয়েছেন, তা পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন: ঘ. 'আইনজীবীর পরামর্শমতো কমিশনের থাকবে ক্ষমতা ও নানা কাজ'-বিশ্লেষণ কর।
উত্তর: ক. গণতন্ত্র সম্পর্কে অধ্যাপক ফাইনার বলেন, 'আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসন কার্যত রাজনৈতিক দলের শাসন।'
উত্তর: খ. পরোক্ষ নির্বাচন বলতে সাধারণত ওই নির্বাচন পদ্ধতিকে বোঝায়, যেখানে ভোটাররা ভোট দিয়ে সরাসরি প্রতিনিধি নির্বাচন করে একটি মধ্যবর্তী নির্বাচনি সংস্থা তৈরি করে, যা ইলেকটোরাল কলেজ বা নির্বাচকমন্ডলী নামে পরিচিত। আর সেই নির্বাচনি সংস্থা চূড়ান্তভাবে প্রতিনিধি বা রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচন করে। যেমন- যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি এ পদ্ধতিতেই নির্বাচিত হন।
উত্তর: গ. উদ্দীপকে আইনজীবী যে ধরনের কমিশনের পরামর্শ দিয়েছেন, তা পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। উদ্দীপকের আইনজীবী এমন এক ধরনের কমিশনের পরামর্শ দিয়েছেন, যা নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। এখানে একজন প্রবীণ ও কয়েকজন সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। এ বৈশিষ্ট্যগুলোর সঙ্গে আমরা পাঠ্যপুস্তকের নির্বাচন কমিশন গঠনের মিল দেখতে পাই। বাংলাদেশে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কমিশন স্বতন্ত্র, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন পরিচালনা করে। এখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কয়েকজন নির্বাচন কমিশনার নিয়ে কমিশন গঠিত হয়। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ দান করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কমিশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর। কমিশনাররা রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পেশ করতে পারেন। অসদাচরণ ও অসামর্থ্যের কারণে কমিশনাররা দায়িত্ব থেকে অপসারিত হতে পারেন।
উত্তর: ঘ. 'আইনজীবীর পরামর্শমতো কমিশনের থাকবে ক্ষমতা ও নানা কাজ'-বিশ্লেষণ কর।
উদ্দীপকের আইনজীবী নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য একটি কমিশনের পরামর্শ দেন। এখানে একজন প্রবীণ ও কয়েকজন সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। এটি হলো নির্বাচন কমিশন। কারণ সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগ দান করেন। নির্বাচন কমিশন স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের সব নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও তত্ত্বাবধান করেন। ভোটার তালিকা বিষয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হলে কমিশন এর নিষ্পত্তি করেন। কমিশন ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করে। সীমানা বিতর্কের অবসান ঘটাতে কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হয়। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় রিটার্নিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ করে। সংবিধান অনুযায়ী কমিশন সংসদ সদস্যদের দ্বারা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যবস্থা করে। বাছাই করার দায়িত্ব কমিশনের। মনোনয়নপত্র বাছাইসংক্রান্ত বিষয়ে বিতর্ক দেখা দিলে কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। কোনো সংসদ সদস্যের অযোগ্যতা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন দেখা দিলে সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন কমিশন সংবিধান অনুযায়ী ও আইনের দ্বারা অর্পিত সব দায়িত্ব পালন করে।
৩.
উদ্দীপকটি পড়ে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
'ক' ব্যক্তি বিশ্বের এমন একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, যে প্রতিষ্ঠান বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। মানুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করে প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা গড়ে তোলে। সব ধর্ম-বর্ণের ও লোকের স্বাধীনতা এবং মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা গড়ে তোলে।
প্রশ্ন: ক. হেগ শহর কোন দেশে অবস্থিত?
প্রশ্ন: খ. জাতিসংঘ কোন প্রেক্ষাপটে সৃষ্টি হয়?
প্রশ্ন: গ. 'ক' যে ধরনের প্রতিষ্ঠানের প্রধান হতে চান সে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন: ঘ. তুমি কি মনে কর, ওই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি উদ্দেশ্যই জনকল্যাণের জন্য গৃহীত? তোমার মতামতের পক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তর: ক. হেগ শহর নেদারল্যান্ডসে অবস্থিত।