তৃতীয় অধ্যায়
প্রশ্ন. পানি পরিষ্কার ও টলটলে হলেও তার বিশুদ্ধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে কেন? ৫টি বাক্যে বর্ণনা কর।
উত্তর : পানি পরিষ্কার ও টলটলে হলেও তা পান করার উপযোগী নাও হতে পারে। কারণ খালি চোখে দেখা যায় না এমন অনেক রোগজীবাণু বা ক্ষতিকর পদার্থ এ পানিতে মিশে থাকতে পারে। পরিষ্কার ও টলটলে নলকূপের পানিতে বিষাক্ত আর্সেনিক থাকতে পারে। এ ধরনের পানিকে বিশুদ্ধ পানি মনে করে পান করলে শরীরে নানা রোগ দেখা দেবে। তাই পানি পরিষ্কার ও টলটলে হলেও তার বিশুদ্ধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
চতুর্থ অধ্যায়
প্রশ্ন. দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন কাজে বায়ু ব্যবহার করি, বায়ুর এরূপ পাঁচটি ব্যবহার লেখ।
উত্তর : দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন কাজে বায়ু ব্যবহার করি। বায়ুর এরূপ পাঁচটি ব্যবহার হলো-
১. ফসল ঝেড়ে ময়লা দূর করা।
২. সাইকেল, গাড়ির চাকায় বায়ু ভর্তি করে চালানো।
৩. ভেজা কাপড় শুকানো।
৪. লম্বা ভেজা চুল শুকানো।
৫. শরীর ঠান্ডা করতে হাতপাখা ও বৈদু্যতিক পাখা ব্যবহার।
প্রশ্ন. তোমাদের স্কুলে আগুন নেভানোর একটি যন্ত্র আনা হয়েছে। এ যন্ত্রটি কিভাবে কাজ করে তা ৫টি বাক্যে বর্ণনা কর।
উত্তর : আমাদের স্কুলে আনা আগুন নেভানোর যন্ত্রের ওপর যে হাতলটি আছে তা চাপ দিলে এতে থাকা রাসায়নিক দ্রব্যগুলো একত্রে মিশে ফেনার মতো কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন হয়। কার্বন ডাইঅক্সাইড আগুন নেভাতে সাহায্য করে।
আমরা জানি, অক্সিজেন আগুন জ্বলতে সাহায্য করে। কোনো স্থানে আগুন লাগলে যদি কার্বন ডাইঅক্সাইডের ফেনা স্প্রে করে একটি আবরণ সৃষ্টি করা যায় তাহলে আগুন বাতাসের অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসতে পারে না, ফলে আগুন নিভে যায়।
প্রশ্ন. তোমার এলাকায় বায়ু দূষণের যে যে কারণ তুমি লক্ষ্য করেছ সে সম্পর্কে ৫টি বাক্য লেখ।
উত্তর : আমি গ্রামে বসবাস করি। আমার এলাকায় বায়ু দূষণের নিম্নবর্ণিত কারণগুলো আমি লক্ষ্য করেছি-
১. খোলা পায়খানা ব্যবহার
২. রাস্তার ধারে মরা জীবজন্তু পড়ে থাকতে দেখা যায়।
৩. যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়।
৪. জমিতে অধিক পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়।
৫. জ্বালানি পুড়িয়ে রান্না করার কারণে অধিক পরিমাণে ধোঁয়া বের হয়।
প্রশ্ন. আসিফের বাবা একটি ইটের ভাটায় কাজ করেন। এখানকার বায়ুর কারণে আসিফের বাবার কী ধরনের সমস্যা হতে পারে তা ৪টি বাক্যে লেখ।
উত্তর : ইটের ভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ার অনেক ক্ষতিকর উপাদান থাকে, যা বায়ু দূষিত করে। এ দূষিত বায়ুর কারণে আসিফের বাবার শ্বাসকার্যে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। একই সঙ্গে তার আরো নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন- অ্যালার্জি, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথা, ফুসফুসের ক্যান্সার ইত্যাদি।
প্রশ্ন. তোমার এলাকায় বায়ু দূষণের কোনো প্রভাব কি তোমার পরিবারের ওপর পড়েছে? ৫টি বাক্যে লেখ।
উত্তর : আমি শহরে বাস করি। আমার এলাকায় বায়ু দূষণের নিম্নবর্ণিত প্রভাবগুলো আমার পরিবারের ওপর পড়েছে-
১. বায়ু দূষণের কারণে আমার এলাকার পরিবেশ ধোঁয়া ও ধূলিময় হয়ে থাকে।
২. আমার দাদা প্রায়ই শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন।
৩. পবিবারের অনেকে প্রায়ই সর্দি, কাশিতে ভোগে।
৪. আমার এবং আমার ছোট ভাইয়ের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিয়েছে।
৫. পরিবেশের উপাদানগুলোর মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে।
প্রশ্ন. তোমার এলাকায় বায়ু দূষণ রোধে তুমি কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে সে সম্পর্কে ৫টি পরামর্শ লেখ।
উত্তর : আমি গ্রামে বাস করি। আমার এলাকায় বায়ু দূষণ রোধে আমার বন্ধুদের নিয়ে নিম্নবর্ণিত কাজগুলো করতে পারি-
১. গ্রামবাসীকে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার করতে বলব।
২. ধূমপান ও তামাক সেবন না করতে জনগণকে সচেতন করব।
৩. প্রত্যেকের রান্নাঘরে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে বলব।
৪. গৃহপালিত পশু-পাখির বর্জ্য নিয়মিত পরিষ্কার করার জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করব।
৫. যেখানে ময়লা পানি জমে থাকে তা পরিষ্কারের ব্যবস্থা করব।
প্রশ্ন. ইটের ভাটার দূষণের প্রভাব কীভাবে কমানো যায়?
উত্তর : ইটের ভাটা থেকে কালো ধোঁয়া বাতাসে মেশে। এ ধোঁয়ায় থাকে কার্বন মনোঅক্সাইড, কার্বন কণা, কার্বন ডাইঅক্সাইড, যা বায়ু দূষণ ঘটায়। এ দূষণ কমানোর জন্য-
১. ইটের ভাটা থেকে কালো ধোঁয়া বায়ুতে মেশার আগে ছাঁকনযন্ত্রের সাহায্যে পরিশোধনের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. ইটের ভাটায় উন্মুক্ত পদ্ধতিতে রোদে ইট শুকানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
এভাবে ইটের ভাটার দূষণের প্রভাব কমানো যেতে পারে।
প্রশ্ন. বায়ুপ্রবাহকে আমরা কী কী কাজে ব্যবহার করতে পারি?
উত্তর : বায়ুপ্রবাহকে আমরা নিম্নলিখিত কাজে ব্যবহার করতে পারি-
১. বড় চরকা বা টারবাইন ঘুরিয়ে বিদু্যৎ উৎপাদন করা।
২. ফসল ঝেড়ে ময়লা দূর করা।
৩. পালতোলা নৌকা চালানো।
৪. ভেজা কাপড় শুকানো।
৫. ঘুড়ি ওড়ানো।
৬. লম্বা ভেজা চুল সহজে শুকানো।
৭. আমাদের শরীর ঠান্ডা রাখতে হাতপাখা ও বৈদু্যতিক পাখা থেকে বায়ুপ্রবাহকে ব্যবহার করতে পারি।