বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু

শিক্ষা জগৎ ডেস্ক য়
  ১২ জুন ২০১৯, ০০:০০
স্যার আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু আবিষ্কার: উদ্ভিদের প্রাণ জন্ম: ৩০ নভেম্বর ১৮৫৮ খ্রি: মৃতু্য: ২৩ নভেম্বর, ১৯৩৭ খ্রি:

ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে অন্যতম বিজ্ঞানী স্যার আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু। স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একজন বাঙালি পদার্থবিদ, উদ্ভিদবিদ ও জীববিজ্ঞানী এবং প্রথম দিকের একজন কল্পবিজ্ঞান রচয়িতা। জগদীশ চন্দ্র বসু ১৮৫৮ সালের ৩০ নভেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি অঞ্চলের ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ভগবান চন্দ্র বসু তখন ফরিদপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন এবং তার মাতা বাম সুন্দরী বোস। ১৯০১ সালের ১০ মে লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটিতে হলঘরে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু প্রথম প্রমাণ করেছেন জীব ও প্রাণিজগতের মতো উদ্ভিদের প্রাণ আছে। তিনি প্রমাণ করেছেন, উষ্ণতা, আলো-বাতাস, শব্দ, ধ্বনি ও প্রতিধ্বনির সঙ্গে উদ্ভিদ ও গুল্মরাজি উদ্দীপনা বা চেতনা অনুভব করে। এই তত্ত্ব প্রমাণ করার লক্ষ্যে বিজ্ঞানী বসু একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন, যার নাম ক্রেসকোগ্রাফ। এই যন্ত্রের বিশেষত্ব হলো বাহ্যিক প্রভাবকের প্রভাবে উদ্ভিদে উৎপন্ন উদ্দীপনাকে এটি রেকর্ড করতে সক্ষম। তিনি উদ্ভাবিত যন্ত্র ব্যবহার করে প্রমাণ করেন যে, কীভাবে সার, আলোকরশ্মি, বেতার তরঙ্গ উদ্ভিদের জীবনকে প্রভাবিত করে।

স্যার আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একজন পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে বেতার তরঙ্গ আবিষ্কার করেন। তার গবেষণার মূল বিষয় ছিল অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ। ১৮৯৫ সালে তিনি এই অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ সৃষ্টি করতে সক্ষম হন এবং কোনো তার ছাড়া এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তা প্রেরণে সফলতা পান। জগদীশ চন্দ্র বিজ্ঞানী হার্টজের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে সর্বপ্রথম প্রায় ৫ মিলিমিটার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট তরঙ্গ তৈরি করেন। আজকের আধুনিক বিশ্বের রাডার, টেলিভিশন এবং মহাকাশ যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই তরঙ্গের ব্যবহার অনস্বীকার্য। পরে জগদীশ চন্দ্র বসুর এই থিম ব্যবহার করে মারকনি রেডিও আবিষ্কার করেন।

বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর লেখা বইয়ের মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হচ্ছে- রেসপন্সেস ইন দ্য লিভিং অ্যান্ড নন-লিভিং (১৯০২), পস্নান্ট রেসপন্সেস এজ এ মিনস অব ফিজিওলজিক্যাল ইনভেস্টিগেশনস (১৯০৬), কম্পারেটিভ ইলেক্ট্রফিজিওলজি (১৯০৭), নার্ভাস মেকানিজম অব পস্নান্টস (১৯২৫), কালেক্টেট ফিজিক্যাল পেপার্স (১৯২৭), মটর মেকানিজম অব পস্নান্টস (১৯২৮) ও গ্রোথ অ্যান্ড ট্রপিক মুভমেন্ট ইন পস্নান্টস (১৯২৯)। ছোটদের জন্যও তার বাংলায় লেখা বইয়ের নাম হলো- 'অব্যক্ত'।

স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ২৩ নভেম্বর, ১৯৩৭ সালে ৭৮ বছর বয়সে মারা যান। তার স্মরণে চাঁদের একটি আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের নামকরণ করা হয়েছে 'বোস ক্রাটার' নামে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<53110 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1