অধ্যায় ২
প্রশ্ন-১৩ : কত শতক পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলতে থাকে? এ ধরনের আন্দোলন সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর : ২০ শতক পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলতে থাকে। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-
১. ভারতের বড় আন্দোলনগুলোর মধ্যে ছিল স্বরাজ আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন এবং সশস্ত্র যুব বিদ্রোহ।
২. এসব আন্দোলনে মাস্টারদা সূর্যসেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার এবং ক্ষুদিরামের আত্মত্যাগ ও সাহসিকতা চিরস্মরণীয়।
৩. রাজনৈতিক আন্দোলন তৃতীয় ধাপে নেতৃত্ব দিয়েছেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু এবং শেরে-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক।
৪. কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাদের লেখনীর মাধ্যমে বাঙালির স্বাধিকার চেতনা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
অধ্যায় ৩
প্রশ্ন-১ : বাংলাদেশের একটি বিশেষ খ্যাতনামা ঐতিহাসিক স্থান যেটি বগুড়া শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। এ ঐতিহাসিক স্থানটির নাম কী? স্থানটি কোন নদীর তীরে অবস্থিত? স্থানটি সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ?
উত্তর: ঐতিহাসিক স্থানটির নাম মহাস্থানগড়। মহাস্থানগড় করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত। মহাস্থানগড় সম্পর্কে তিনটি বাক্য হলো-
১. মহাস্থানগড় খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ অব্দ থেকে ১৫০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় ১৯০০ বছরের ইতিহাসর সাক্ষ্য বহন করে।
২. মৌর্য আমলে এই স্থানটি পুন্ড্রনগর নামে পরিচিত ছিল।
৩. মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ৩.৩৫ মিটার লম্বা খোদাই পাথর।
প্রশ্ন-২: স্কুলের শিক্ষার্থীরা পাল রাজা ধর্মপালের আমলে নির্মিত একটি ঐতিহাসিক স্থান দেখতে গিয়েছিল। উক্ত স্থান কোনটি? স্থানটি কোথায় অবস্থিত? এই স্থান সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ।
উত্তর : স্থানটি হলো পাহাড়পুর।
পাহাড়পুর রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলায় অবস্থিত।
পাহাড় সম্পর্কে তিনটি বাক্য হলো-
১. ঐতিহাসিক নিদর্শন পাহাড়পুর ৭৮১-৮৮১ খ্রিস্টাব্দে পাল রাজা ধর্মপালের শাসনামলে নির্মিত হয়।
২. এখানে ২৪ মিটার উঁচু গড় রয়েছে যেটি 'সোমপুর মহাবিহার' নামেও পরিচিত।
৩. সোমপুর মহাবিহার ছাড়াও পাহাড়পুরে মন্দির, রান্নাঘর, খাবার ঘর এবং পাকা নর্দমা রয়েছে।
প্রশ্ন-৩ : কোন ঐতিহাসিক স্থানটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের কুমিলস্না শহরের কাছে অবস্থিত। স্থানটি বৌদ্ধ সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র ছিল। ঐতিহাসিক স্থানটির নাম কী? স্থানটিতে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলো সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর : ঐতিহাসিক স্থানটির নাম ময়নামতি।
ময়নামতিতে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলো সম্পর্কে ৪টি বাক্য হলো-
১. ময়নামতিতে হিন্দু ও জৈন ধর্মের নিদর্শন গেছে।
২. এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়।
৩. জীবজন্তু অঙ্কিত পোড়ামাটির বিভিন্ন স্মৃতির নিদর্শন দেখা যায়।
৪. ময়নামতিতে বিভিন্ন মুদ্রা ও পাথরের ফলক পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন-৪ : ঐতিহাসিক নির্দশনগুলো কোথায় রাখা হয়? ঐতিহাসিক নির্দশনগুলো আমাদের সংরক্ষণ করা উচিত কেন চারটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো প্রদর্শনের জন্য জাদুঘরে রাখা হয়।
ঐতিহাসিক নিদর্শন সংরক্ষণ করা উচিত। কারণ-
\হঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো আমাদের অতীত সভ্যতার পরিচয় বহন করে।
অতীতের সংস্কৃতি ও কৃষ্টির পরিচয় বহন করে বলে।
অতীত ইতিহাস জানতে সহায়তা করে।
আমরা এসব ঐতিহ্যে গৌরববোধ করি বলে।