আজ তোমাদের জন্য বাংলা যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো
প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ১, ২ ক্রমিক প্রশ্নের উত্তর লেখ (পাঠ্যবই হতে) :
আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা বাংলাদেশে জন্মেছি। আমরা বাংলাদেশের বাঙালি। তার মানে- বাঙালি আরো কোথাও আছে নাকি? নিশ্চয়ই আছে। আমাদের একেবারে পাশে- ধর, তুমি চট্টগ্রামে বা সিলেটগামী ট্রেনে চেপে আখাউড়া বেড়াতে গেলে। এ আখাউড়া স্টেশন থেকে নেমে চার-পাঁচ কিলোমিটার পথ পেরোলেই পেয়ে যাবে সীমান্ত, অর্থাৎ যেখানটায় বাংলাদেশ আর ভারতের সীমানা দুই দিক থেকে এসে মিলেছে। ওই সীমান্তের ওপারেই ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। ত্রিপুরার লোকজনও বাঙালি, সবাই বাংলায় কথা বলে। তুমি যদি পার্বত্য চট্টগ্রামে যাও, দেখতে পাবে আরো নানা ধরনের মানুষের বসবাস সেখানে। তারা নিজ নিজ ভাষায় কথা বলে।
১। প্রদত্ত শব্দগুলোর অর্থ লেখ : (৭টির মধ্যে ৫টি)
সৌভাগ্য, বাঙালি, সীমান্ত, সীমানা, নিশ্চয়,ভাষা, পার্বত্য চট্টগ্রাম
\হ
উত্তর :
প্রদত্ত শব্দ অর্থ
সৌভাগ্য - ভালো ভাগ্য
বাঙালি - বাংলাভাষী, বাংলাদেশি
সীমান্ত - শেষ প্রান্ত
সীমানা - গন্ডি
নিশ্চয় - নিঃসন্দেহ জ্ঞান
২। নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর লেখ :
ক) আমাদের সৌভাগ্য কী?
উত্তর : আমাদের সৌভাগ্য আমরা বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি।
খ) আমরা বাংলাদেশের বাঙালি-কথাটির মানে কী?
উত্তর : যারা বাংলায় কথা বলে ও বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতি, আচার-ব্যবহারের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করে তারাই বাঙালি। তাই বাঙালি শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাঙালি রয়েছে। এ থেকে যারা বাংলাদেশে বাস করে তাদের বাংলাদেশের বাঙালি বলা হয়।
গ) চট্টগ্রাম বা সিলেটগামী ট্রেনে চেপে কিভাবে ত্রিপুরা রাজ্য পাওয়া যাবে?
উত্তর : চট্টগ্রাম বা সিলেটগামী ট্রেনে চেপে আখাউড়া যাওয়া যায়। আখাউড়া স্টেশনে নেমে চার-পাঁচ কিলোমিটার পথ পেরোলেই সীমান্ত পাওয়া যায়। সেই সীমান্তের ওপারেই ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য অবস্থিত। এভাবে ত্রিপুরা রাজ্যে যাওয়া যায়।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ১, ২ (পাঠ্যবই হতে) :
বাংলাদেশের এই যে মানুষ, তাদের পেশাও কত বিচিত্র। কেউ জেলে, কেউ কুমোর, কেউ কৃষক, কেউ আবার কাজ করে অফিসে-আদালতে। সবাই আমরা পরস্পরের বন্ধু। একজন তার কাজ দিয়ে আরেকজনকে সাহায্য করছে। গড়ে তুলছে এই দেশ। ভাব তো কৃষকের কথা। তারা কাজ না করলে আমাদের খাদ্য জোগাত কে? সবাইকে তাই আমাদের শ্রদ্ধা করতে হবে, ভালোবাসতে হবে। সবাই আমাদের আপনজন।
এভাবেই তো সবাইকে নিয়ে আমরা আনন্দে আছি। কিন্তু সেই আনন্দ কী রকমের? এক ধরনের আনন্দ হচ্ছে নানা ধরনের উৎসব নিয়ে। মুসলমানদের দুটো ঈদ রয়েছে, রয়েছে মহররম। হিন্দুদের দুর্গাপূজাসহ এত উৎসব আছে যে, 'বারো মাসে তেরো পার্বণ' লেগেই থাকে। বৌদ্ধদের আছে সারা বছরে কয়েকটি বৌদ্ধপূর্ণিমা। খ্রিস্টানদের আছে ইস্টার সানডে, তা ছাড়া ২৫ ডিসেম্বর, মানে 'বড়দিন'। এর সবই তো আমরা উদ্যাপন করি।