অতীত কাল: রহিত (রইত), রহিতেন (রইতেন), রহিতাম (রইতাম-রইতুম) ইত্যাদি।
ভবিষ্যত কাল: রহিবে, (রইবে, রবে), রহিবেন (রইবেন), রহিবি (রইবি), রহিব (রইবো), রহিস (রোস, রোসো)।
বাক্য গঠন :
কোথাকার জাদুকর এলি এখানে।
আইল রাক্ষসকুল প্রভঞ্জন বেগে।
কেমন আছিস?
কোথায় ছিলি?
সে ব্যক্তিটি তুমি নও।
একা দেখি কুলবধূ, কে বট আপনি?
আজি ঘরে একলাটি পারবো না রইতে।
রোসো, তোমাকে মজা দেখাচ্ছি।
হেথা নয়, হেথা নয়, অন্য কোথা, অন্য কোন খানে।
কারকের সংজ্ঞা, প্রকরণ ও নমুনা
‘কারক’ শব্দটির অথর্- যা ক্রিয়া সম্পাদন করে।
বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের যে সম্পকর্ তাকে কারক বলে।
কারক ছয় প্রকার:
১. কতৃর্কারক
২. কমর্ কারক
৩. করণ কারক
৪. সম্প্রদান কারক
৫. অপাদান কারক
৬. অধিকরণ কারক
একটি বাক্যে ৬টি কারকের নমুনা: একটি বাক্যে ছয়টি কারকের উদাহরণ : বেগম সাহেবা প্রতিদিন ভাড়ার থেকে নিজ হাতে গরিবদের চাল দিতেন। এখানে-
১. বেগম সাহেবা - ক্রিয়ার সঙ্গে কতৃর্সম্বন্ধ
২. চাল - ’’ কমর্ সম্বন্ধ
৩. হাতে - ’’ করণ সম্বন্ধ
৪. গরিবদের - ’’ সম্প্রদান সম্বন্ধ
৫. ভাড়ার থেকে - ’’ অপাদান সম্বন্ধ
৬. প্রতিদিন - ’’ অধিকরণ সম্বন্ধ
বিভক্তির সংজ্ঞা ও প্রকরণ
বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের অন্বয় সাধনের জন্য শব্দের সঙ্গে যে সকল বণর্ যুক্ত হয় তাদের বিভক্তি বলে। যেমন : ছাদে বসে মা শিশুকে চাদ দেখাচ্ছেন। বাক্যটিতে ছাদে (ছাদ+এ বিভক্তি), মা (মা+০ বিভক্তি), শিশুকে (শিশু+কে বিভক্তি), চাদ (চাদ+০ বিভক্তি) ইত্যাদি পদে বিভিন্ন বিভক্তি যুক্ত হয়েছে। বিভক্তিগুলো ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের সম্পকর্ স্থাপন করেছে। বিভক্তি চিহ্ন স্পষ্ট না হলে সেখানে শূন্যবিভক্তি আছে মনে করা হয়।
বিভক্তি ২ প্রকার
যেমন : শব্দবিভক্তি বা নামবিভক্তি ও ক্রিয়াবিভক্তি
বাংলা শব্দবিভক্তি বা নামবিভক্তি
০ শূন্য বিভক্তি (অথবা অ-বিভক্তি), এ, (য়), তে (এ), কে (রে), র, (এরা)- কয়টিই খাটি বাংলা শব্দবিভক্তি। এছাড়া বিভক্তি স্থানীয় কয়েকটি অব্যয় শব্দ কারক-সম্বন্ধ নিণের্য়র জন্য বাংলায় প্রচলিত রয়েছে।
যেমন : দ্বারা, দিয়ে, হতে, থেকে ইত্যাদি।
বাংলা শব্দবিভক্তি সাত প্রকার : প্রথমা, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুথীর্, পঞ্চমী, ষষ্ঠী এবং সপ্তমী।
একবচন এবং বহুবচন ভেদে বিভক্তিগুলোর আকৃতিগত পাথর্ক্য দেখা যায়।
যেমন :
বিভক্তির আকৃতি