শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিজ্ঞানের যত কথা

শিক্ষা জগৎ ডেস্ক
  ২৭ মার্চ ২০২০, ০০:০০
মাইটোকন্ড্রিয়া

মাইটোকন্ড্রিয়া (গরঃড়পযড়হফৎরধ) এক প্রকার কোষীয় অঙ্গানু, যা সুকেন্দ্রিক কোষে পাওয়া যায়। মাই?টোক?ন্ড্রিয়াকে কোষের শ?ক্তি উৎপাদন কেন্দ্র বা পাওয়ার হাউস বলা হয়। মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের শ্বসন অঙ্গানু। এখানে শ্বসনের সব কাজ সম্পন্ন হয়। আর এ শ্বসনের মাধ্যমেই জীবদেহের শক্তি উৎপন্ন হয়। ক্রেবস চক্রসহ শ্বসনের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়গুলো মাইটোকন্ড্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। অর্থাৎ জীব তার সব জৈবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি এই মাইটোকন্ড্রিয়া হতে পায় বলে একে কোষের চড়বিৎ ঐড়ঁংব বা শক্তিঘর বলা হয়।

মাইটোকন্ড্রিয়ার আবিষ্কার নিয়ে মতভেদ আছে। একটি মতে, বিজ্ঞানী অল্টম্যান ১৮৯৪ সালে ইহা আবিষ্কার করেন। আবার কারও মতে, গ্রিক বিজ্ঞানী সি. বেন্ডা ১৮৯৮ সালে মাইটোকন্ড্রিয়া আবিষ্কার করেন। এন্ডোসিম্বায়াটিক থিওরি অনুযায়ী মাইটোকন্ড্রিয়া, পস্নাস্টিড বহু আগে মুক্তজীবী ব্যাক্টেরিয়া ছিল। যারা এন্ডোসিম্বায়ান্ট হিসেবে অন্য কোষের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং এক সময় কোষেরই অংশ হয়ে যায়।

অবস্থান: লোহিত রক্তকণিকা এবং সিভনল ব্যতীত সব ধরনের শক্তি উৎপাদী কোষেই মাইটোকন্ড্রিয়ায় থাকে।

গঠন: মাইটোকন্ড্রিয়া দুটি একক পর্দা দিয়ে গঠিত, যাদের প্রত্যেকটির বেধ ৬০ঞ্ঝ। ভেতরের অন্তঃআবরণী (ওহহবৎ গবসনৎধহব) এবং বাইরের বহিরাবরণী (ঙঁঃবৎ গবসনৎধহব) বলা হয়। দুটি একক পর্দার মধ্যবর্তী স্থানকে পেরিমাইটোকন্ড্রিয়াল স্পেস (৬০-৯০ঞ্ঝ) বলে। প্রতিটি একক পর্দা লাইপোপ্রোটিন (চ-খ-চ) নির্মিত। অন্তঃপর্দা ভেতরের দিকে ভাঁজ হয়ে যে বিভেদক প্রাচীর সৃষ্টি করে তাকে ক্রিস্টি (ঈৎরংঃধব) বলে। অন্তঃপর্দার ভেতরে অর্ধতরল ধাত্র বা ম্যাট্রিক্স বর্তমান। এই ধাত্রে বিভিন্ন প্রকার উৎসেচক বর্তমান। বহিঃপর্দার বহিঃগাত্রকে ঈ-তল (ঈুঃড়ঢ়ষধংসরপ ঝঁৎভধপব) এবং অভ্যন্তরীণ তলকে গ-তল (গধঃৎরী ঝঁৎভধপব) বলে। ক্রিস্টির গাত্রে অসংখ্য সবৃন্তক কণা বর্তমান, একে অক্সিজোম বা ঋ১ বা ফার্নান্ডেজ-মোরান অধঃএকক বলে। বর্তমানে জানা গেছে, অক্সিজোম ৫টি অধঃএককের সম গঠিত। এদের ৩প,৩ন,১ম,১উ ও ১ব দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এই অধঃএককগুলো শ্বাস উৎসেচকে পূর্ণ। অক্সিজোমের গোলাকার মস্তকের ব্যাস ৭৫-১০০ঞ্ঝ,বৃন্তটি লম্বাকার অংশ ৫০ঞ্ঝ দীর্ঘ এবং চওড়ায় ৩৫-৪০ঞ্ঝ। আয়তাকার বেস (ইধংব বা ঋ০ ংঁনঁহরঃ) ১১৫ঞ্ঝ*৪৫ঞ্ঝ আয়তনের বেস। প্রতিটি মাইটোকন্ড্রিয়ায় অক্সিজোমের সংখ্যা ১০০০০-১০০০০০।

প্রতিটি অক্সিজোম পরস্পর থেকে ১০০ঞ্ঝ দূরে থাকে। বহিঃপর্দার বহিঃগাত্রে কিছু অবৃন্তক কণা বর্তমান, এদের পারসনের অধঃএকক বলে। মাইটোকন্ড্রিয়ার ম্যাট্রিক্সে ৩-৫টি চক্রাকার উঘঅ বর্তমান, একে মাইটোকন্ড্রিয়ার উঘঅ বলে। ম্যাট্রিক্সে মাঝেমাঝে গুচ্ছাকারে ৫৫ঝ প্রকৃতির রাইবোজোম বর্তমান, এদের মিটোরাইবোজোম বলে।

কাজ: ১. মাইটোকন্ড্রিয়া জীবের শ্বসন কার্যে সাহায্য করে।

\হ২. মাইটোকন্ড্রিয়ার মাধ্যমে শ্বসনের ফলে খাদ্য মধ্যস্থ শক্তি নির্গত হয় বলে একে কোষের শক্তি ঘর বলে।

\হ৩. কোষের যাবতীয় কাজের জন্য শক্তি উৎপাদন এবং নিয়ন্ত্রণ করা মাইটোকন্ড্রিয়ার কাজ।

\হ৪. কিছু পরিমাণ জঘঅ ও উঘঅ উৎপন্ন করতে পারে।

\হ৫. কোষের প্রয়োজনে সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটিয়ে কাজে সহায়তা করে।

\হ৬. প্রাণিকোষে শুক্রাণু ও ডিম্বানু গঠনে উলেস্নখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।

\হ৭. মাইটোকন্ড্রিয়া স্মৃতিশক্তিকে প্রভাবিত করে।

\হ৮. মাইটোকন্ড্রিয়া আমাদের কোষের জন্য শক্তি তৈরির সঙ্গে সঙ্গে এক ধরনের আয়নিত অণুর সৃষ্ট করে- যাকে ফ্রি রেডিকেল বলে। তারা স্টেম সেলের পরিণত হওয়া এবং ভাইরাসের আক্রমণে নিরাপত্তা প্রতিক্রিয়া তৈরিতেও কাজ করে।

৯. মাইটোকন্ড্রিয়া শ্বসনের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম, কো-এনজাইম ধারণ করে।

১০. স্নেহ জাতীয় খাদ্য বিপাকে সাহায্য করে মাইটোকন্ড্রিয়া।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<94196 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1