শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভীষণ ব্যস্ত মেহজাবিন

বিনোদন রিপোটর্
  ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০
মেহজাবিন চৌধুরী

চলতি সময়ের ছোট পদার্র জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবিন। গেল বছর মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘বড় ছেলে’ নাটকের মধ্য দিয়ে দারুণ আলোচনায় আসেন। এই নাটকে তিনি কঁাদেন, দশর্কদেরও কঁাদান। তারপর থেকে মেহজাবিনের প্রতি দশের্কর আগ্রহটাও বাড়তে থাকে। গেল ঈদেও মেহজাবিন তার সেই সফলতা ধরে রাখেন। বতর্মানে প্রতিদিন কোনো না কোনো খÐ নাটক নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন মেহজাবিন। কারণ তিনি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেন না।

এবারের পূজার নাটকেও দেখা যাবে এই প্রিয় মুখকে। দেবী শিরোনামের একটি নাটকে নাম ভ‚মিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। শারদীয় দুগার্পূজা উপলক্ষে আসছে ১৯ অক্টোবর রাত ৯টায় এটিএন বাংলায় প্রচার হবে বিশেষ নাটক ‘দেবী’। প্রীতি দত্তের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন বিশ্বজিৎ দত্ত ও প্রীতি দত্ত। এর গল্প দেখা যাবে- পূজা উপলক্ষে দীঘির্দন পর বাসায় কাউকে কিছু না জানিয়ে আমেরিকা থেকে দেশে ফিরে জয়ন্ত। তার মা-বাবা পুরান ঢাকার। চিন্তা চেতনায় আধুনিক হলেও ধমীর্য় গোড়ামি রয়েছে তাদের মধ্যে। জয়ন্তকে দেখে তাদের পূজার আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়। মা এই পূজাতেই জয়ন্তকে বিয়ে দিয়ে ঘরে বউ আনবে। এর মধ্যে একদিন খুব সকালে জয়ন্তের ঘুম ভাঙ্গলো মিষ্টি কন্ঠের গান শুনে। তাদেরই বাসার চিলেকোঠার ঘরে এক কোনায় ঠাকুরের আসনের সামনে স্নিগ্ধ সাজে পূজার সুরে গান গাইছে দেবী নামের একটি মেয়ে। হঠাৎ জয়ন্তের ঘোর ভাঙে দেবী যখন তার সামনে প্রসাদ বাড়িয়ে দেয়। জয়ন্ত দেবীর প্রেমে পড়ে যায়। তাই মায়ের দেখানো একটি মেয়েও তার পছন্দ হয় না। দেবীকে ফলো করা শুরু করে জয়ন্ত। জানতে পারে দেবী তার বাবার কলিগের ছিল। কিছুদিন আগে বাবা হারিয়েছে। একটি স্কুুলের শিক্ষকতা করে। দেবী একদিন ঘরে ঢুকে দেখে টেবিলের ওপর কিছু বেলি ফুল রাখা পাশে একটি চিরকুট। তাতে লেখা ‘যদি ডাকে সাড়া দাও তো খোঁপায় ফুল গুলো দিয়ে ছাদে এসো’। দেবী আসেনা। পরদিন সিঁড়িতে দেবীর পথ আটকায় জয়ন্ত, দেবী জানায় তারা গরীব। জয়ন্তর বাবা মা এই প্রেম মেনে নিবে না। এরপর অনেক নাটকীয়তার পরে জয়ন্তর বাবা বিজয়া দশমীর দিন দেবীকে সসম্মানে বাসায় নিয়ে আসে। একদিকে প্রতিমা বিসজর্ন হয় অন্যদিকে দেবী ঘরে ফিরে আসে।’ নাটকে জয়ন্ত চরিত্র এস.এন জনি ও অন্যান্য মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, করভী মিজান প্রমুখ অভিনয় করেছেন।

এদিকে গত ঈদে নাটক প্রচারের সংখ্যায় অন্য অভিনেত্রীদের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন মেহজাবিন। তার অভিনীত সবাির্ধক তেইশটি নাটক বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হয়। এসবের মধ্যে বেশ কিছু নাটক দশের্কর মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলে। উলেখযোগ্য নাটকগুলো হলো জাকারিয়া সৌখিনের ‘যদি তুমি জানতে’, চয়নিকা চৌধুরীর ‘গল্পটি হতেও পারতো ভালোবাসার’, মহিদুল মহিমের ‘রং বদল’, মাহমুদুর রহমান হিমির ‘তোমার অপেক্ষায়’, বি ইউ শুভর ‘হঠাৎ একদিন’, রুপক বিন রউফের ‘রাজা রানী রাজি’ ও আশফাক নিপুনের ‘লায়লা তুমি কি আমাকে মিস করো’। সবাির্ধক নাটক প্রচার প্রসঙ্গে মেহজাবিন বলেন, ‘নাটকের সংখ্যা গুনে অভিনয় করি না। তবুও দেখতে দেখতে অনেকগুলো নাটক প্রচার হলো। নিমার্তারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন এ জন্য তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। নাটকের সংখ্যা বেশি হলেও মানের ক্ষেত্রে আমি আপস করিনি। প্রতিটি নাটকের গল্প ও চরিত্রে বৈচিত্র্য রয়েছে। দশর্ক আমার কাছে যা প্রত্যাশা করেন সেটি পূরণ করার চেষ্টা থাকে আমার নাটকগুলোতে। এভাবেই আমি আগামীতেও অভিনয় করতে চাই।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<17983 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1