বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

৬৭-তে পা দিলেন রুনা লায়লা

বিনোদন রিপোটর্
  ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০
রুনা লায়লা

৬৬ পেরিয়ে আজ ৬৭-তে পা দিলেন দেশবরেণ্য কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা। গত বছর পারিবারিকভাবেই নিজ বাসভবনে জন্মদিনের কেক কাটেন তিনি। কিন্তু এবারের জন্মদিন কোথায় পালন করবেন? জানতে চাইলে রুনা লায়লা জানালেন, এবার আর দেশে নয়, কলকাতায় একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই কেটে যাবে তার জন্মদিন। সেই পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতার উদ্দেশ্যে রওয়না হন তিনি। সেখানে পারিবারিক অনুষ্ঠানে দু’দিন থেকে আগামী ১৯ নভেম্বর ঢাকায় ফিরবেন তিনি। ঢাকায় একদিন অবস্থান করে আগামী ২১ নভেম্বর লÐনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন। ৭ ডিসেম্বর পযর্ন্ত লÐনে অবস্থান শেষে আবার ৮ ডিসেম্বর ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন রুনা লায়লা।

রুনা লায়লা বলেন, ‘এবারের জন্মদিনে চাইলেও আর ঢাকায় থাকতে পারিনি। একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কলকাতায় আসতে হয়েছে। জন্মদিনে সবার কাছ থেকে আশীবার্দ কামনা করছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে আমি সুস্থ থাকি, ভালো থাকি। আরও ভালো ভালো কিছু গান যেন গাইতে পারি। যতটা দিন বঁাচি সম্মান নিয়ে যেন বঁাচতে পারি। কারণ একজন শিল্পীর জীবনের শ্রেষ্ঠ অজর্নতো সম্মানই।’

গত ১২ নভেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো শ্রেষ্ঠ করদাতা’র পুরস্কার পেয়েছেন রুনা লায়লা। সেদিন তিনি অথর্মন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের কাছ থেকে ‘সেরা করদাতা’র পুরস্কার গ্রহণ করেন। রুনা লায়লা বলেন, ‘১৯৭৪ সাল থেকে আমি নিয়মিত ট্যাক্স দিয়ে আসছি। ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে আশা করি। আমি সবাইকে অনুরোধ করব সবাইকে নিয়মিত ট্যাক্স পরিশোধ করার জন্য। কারণ এই ট্যাক্সের টাকা দিয়েই দেশের উন্নয়ন হয়, জনগণের সেবা নিশ্চিত করা হয়।’

রুনা লায়লা সবের্শষ চট্টগ্রামে একটি স্টেজ শো’তে অংশ নেন গেল সপ্তাহে। তবে আর আগে তিনি ‘আড়ং’র ৪০ বছর পূতিের্তও ঢাকার আমির্ স্টেডিয়ামে সংগীত পরিবেশন করেন। এরইমধ্যে রুনা লায়লা একজন সংগীত পরিচালক হিসেবেও নিজের অভিষেক ঘটিয়েছেন। নায়ক, প্রযোজক, পরিচালক আলমগীর পরিচালিত ‘একটি সিনেমার গল্প’তে রুনা লায়লার সুরে অঁাখি আলমগীর একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। এখন পযর্ন্ত রুনা লায়লা চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার কারণে পেয়েছেন ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ১৯৭৭ সালে আব্দুল লতিফ বাচ্চু পরিচালিত ‘যাদুর বঁাশি’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করার জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। এরপর তিনি একই সম্মাননায় ভূষিত হন ‘এ্যাকসিডেন্ট’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘তুমি আসবে বলে’, ‘দেবদাস’, ‘প্রিয়া তুমি সুখী হও’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক’র জন্য। দেবু ভট্টাচায্যের্র সুরে প্রথম করাচী রেডিওতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রথম রুনা লায়লার কণ্ঠে বাংলা গান শোনা যায়। ‘নোটন নোটন পায়রাগুলো’, ‘আমি নদীর মতো কতো পথ পেরিয়ে’ গান তার কণ্ঠে শোনা যায়। তবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে রুনা লায়লা প্রথম প্লে-ব্যাক করেন ১৯৭০ সালে নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘স্বরলিপি’ চলচ্চিত্রে সুবল দাসের সুর সংগীতে। ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে বলো কী হবে’ গানটিতে কণ্ঠ দেন। দেশে আসার পর ১৯৭৬-এ প্রথম প্লে-ব্যাক করেন নূরুল হক বাচ্চু পরিচালিত ‘জীবন সাথী’ চলচ্চিত্রে। এর সুর সংগীত করেছিলেন সত্য সাহা। রুনা লায়লার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে গেয়েছিলেন খন্দকার ফারুক আহমেদ। গুণী এই সংগীতশিল্পী ১৮টি ভাষায় গান গাইতে পারেন যা সত্যিই বিরল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<22761 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1