একটানা ২০ দিন কুষ্টিয়া শহর’সহ এর আশপাশের বিভিন্ন লোকেশনে আপাতত শেষ হলো সাইদুল আনাম টুটুল পরিচালিত দ্বিতীয় সিনেমা ‘কালবেলা’ শুটিং। আগামী মাসে রাজশাহীতে অল্প কিছু কাজ করলেই পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে টুটুলের ‘কালবেলা’ সিনেমার কাজ। আর এরই মধ্য দিয়ে টুটুলের দীঘির্দনের একটি স্বপ্নের কাজও শেষ হবে। তখন শুধু অপেক্ষা দশের্কর কাছে ‘কালবেলা’ তুলে ধরার। ২০০১ সালে আইন ও সালিশ কেন্দ্র’ কতৃর্ক প্রকাশিত ‘নারীর ৭১ ও যুদ্ধ পরবতীর্ কথ্য কাহিনী’ থেকে একজন নারী সানজিদা’র মুক্তিযুদ্ধের সময়কার নানান অত্যাচার, নিযার্তনের গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে ‘কালবেলা’ সিনেমায়। এতে সানজিদা চরিত্রে অভিনয় করছেন ‘ওয়াল্ডর্ মিস ইউনিভাসিির্ট ২০১৭’র চ্যাম্পিয়ন তাহনিমা অথৈ। তার বিপরীতে তার স্বামী মতিনের চরিত্রে অভিনয় করছেন শিশির আহমেদ। এরই মধ্যে সিনেমার প্রায় ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান সাইদুল আনাম টুটুল। প্রথম সিনেমাতেই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা এবং সাইদুল আনাম টুটুলের মতো একজন কিংবদন্তী নিমার্তার নিদের্শনায় অভিনয় করতে পারা প্রসঙ্গে তাহমিনা অথৈ বলেন, ‘টুটুল স্যার যেমন গুণী একজন নিমার্তা ঠিক তেমনি একজন ভালো অভিনেতাও। প্রতিটি দৃশ্যে অভিনয়ের আগে তিনি আমাদের যেভাবে অভিনয় করে দেখাতেন তাতে আমাদের কোনোই কষ্ট হতো না। আবার এটাও ঠিক, তিনি শিল্পীকে স্বাধীনতা দিতেন। আমরা কীভাবে অভিনয় করতে চাই সেটাও দেখতেন। কিন্তু সব মিলিয়ে যেটা ভালো হতো আমরা তাই করার চেষ্টা করতাম। বিগত ২০ দিন রোদে পুড়েছি, ভীষণ কষ্ট করেছি। কিন্তু এই প্রচÐ কষ্টের জানির্টা শেষে যা শিখলাম তা হয়তো অল্প সময়ে আর কোনোভাবেই শেখার উপায় ছিল না। অনেক কঠিন একটি গল্পে আমি আমরা অনেক বেশি আন্তরিকতা নিয়ে কাজটি করেছি। তাই আমি নিদ্বির্ধায় আশা করি ‘কালবেলা’ দশের্কর মনকে নাড়া দিবে। কালবেলা দেখতে দশর্ক হলমুখী হবেন। আমি সত্যিই টুটুল স্যারের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ।’ শিশির আহমেদ বলেন, ‘আমার অভিনীত মতিন চরিত্রটি সমাজের গতানুগতিক সহজ সরল ছেলে। টুটুল স্যারের সহযোগিতায় চরিত্রটিকে বাস্তবে রূপদান করার চেষ্টা করেছি। স্যারের মতো একজন কিংবদন্তী পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে পারাটা যে কোন শিল্পীর জন্য সৌভাগ্যের। বলতে গেলে অভিনয়ের অনেক কিছু শিখেছি তার কাছ থেকে। আর তাহমিনা অথৈর সবচেয়ে বড় একটা গুণ নিজের চরিত্র ও গল্পের প্রতি শতভাগ মনোযোগী থাকেন।’