গান কখনো ছাড়ব না
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন। গানে গানে কাটিয়ে দিয়েছেন একজীবন। তবে তিনি বতর্মানে সংসদ নিবার্চনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সমসাময়িক ব্যস্ততা নিয়ে কথা হলো তার সঙ্গে-
বতর্মান ব্যস্ততা...
গান থেকে লম্বা সময় দূরে ছিলাম। তবে দীঘর্ সময় পর ইমরানের সাথে একটি চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাকেও কাজ করেছিলাম। গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল, সুর ও সংগীত আলি আকরাম শুভ। বতর্মানে একটি একক অ্যালবামের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সংসদ নিবার্চনের ব্যস্ততায় গানে তেমন ফেরা হচ্ছে না। তবে নিবার্চনে পর আবার পুনরায় গানে ফিরব।
নিজের গান নিয়ে...
গান আসলে শখের বসে লেখা। দেখা যাচ্ছে কোন কাজ করছি আর গুন গুন এমনি কোনো গান গাচ্ছি। শুর আর কথা ভালো লেগে গেলেই তারাতারি লিখে ফেলি। পরে একটু কাটাকাটি করে একটু সুর লাগিয়ে গেয়ে ফেলি। এটা আসলে শখের বসে। তবে আমি কোনো প্রফেশনাল গান লিখিনি। অন্যদিকে কবিতা লিখতে বেশি ভালোবাসি। ইতোমধ্যে আমার তিনটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে- ‘ঠোঁটে ভালোবাসা’, ‘সে’ এবং ‘প্রিয়মুখ’ শিরোনামে।
বতর্মান সংগীত জগতের অবস্থা নিয়ে...
বতর্মানে অনেকেই গান করছেন ইউটিউবকে বেজ করে। বেশি টাকা খরচ করে ভিডিও বানাচ্ছে সাথে আবার বুস্ট করছেন। তাতে করে গানের মান বাড়ছে না। হয়তো সাময়িক ভিউ বাড়ছে। তবে আমি মনে করি, অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে শিক্ষিত মানুষরা যত বেশি ততই উত্তরণ করবে। দেশের অথৈর্নতিক অবস্থা এখনো খারাপ। কেবল টাকা থাকলেই ভালো কিছু করা সম্ভব হয় না। আমি চাই, আমার ভক্তরা যেন ভালো গান শোনেন এবং ভালো গানের পরিবেশ সৃষ্টি করেন।
স্ট্রেজ শোর গুরুত্ব নিয়ে...
এখন তো ডিজিটাল যুগে অডিও নাই বললেই চলে। আর স্ট্রেজ শোর মাধ্যমে আমরা বিশ্বের বহু দেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছি। সরাসরি টেকনিক ব্যবহারের তেমন সুযোগ থাকে না। টেকনোলোজির সুবিধাগুলো অবশ্যই ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু তা শিল্পীর স্বকীয়তা বিসজর্ন দিয়ে নয়। তবে আমি এখনো গান নিয়ে সাধনা করি।
নিজের ভবিষৎ নিয়ে...
মানুষের ভালোবাসা আমার আশীবার্দ। এলাকার মানুষ আমাকে ভালোবেসে ‘উত্তর বঙ্গের দোয়েল’ উপাধি দিয়েছে। কারণ ভক্তদের জন্যই তো আজকের এই বেবী নাজনীন। আমি একা কিছু নই। আমি তো প্রায়ই বলি আমার ভক্তরা যতদিন থাকবে ততদিন আমিও গান নিয়ে বেঁচে থাকব। ভক্তদের ভালোবাসা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূণর্। তাদের জন্য আমার অনেক শুভকামনা ও আশীবার্দ।