বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
সাক্ষাৎকার

দিনশেষে বেশীর ভাগ ছবি ফ্লপ হয়

বড় পদার্র অভিনেতা ‘কায়েস আরজু’। আগামী ফেব্রæয়ারিতে তার অভিনীত ‘আমার প্রেম আমার প্রিয়া’ ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে কথা হলো তার সঙ্গে
নতুনধারা
  ০৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ০৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:৫৬

বতর্মানে... এই প্রথম বড় পদার্র বাইরে নবীন পরিচালক মেহেদী হাসানের দুইটি টেলিফিল্মে শুটিং শেষ করলাম। অন্যদিকে কয়েকটি নতুন ছবি নিয়েও কথা চলছে। ব্যাটে বলে মিলে গেলে ছবিগুলো কাজ শুরু করব। আগামী ফেব্রæয়ারি আমার অভিনীত পরিচালক শামীমুল ইসলাম শামীমের ‘আমার প্রেম আমার প্রিয়া ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এই ছবিতে আমার বিপরীতে কাজ অভিনয় করেছেন এ সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণি। এ ছাড়াও সম্প্রতি মাহিন আওলাদের একটি মিউজিক ভিডিও করে দশর্কদের বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন। চলচ্চিত্রে নিয়মিত নন কেন?... শুরু থেকে দেখতে দেখতে ৮টি চলচ্চিত্রে কাজ করে ফেলেছি। আর বতর্মানে মৌলিক ছবি পাওয়া বড়ই মুশকিল। তাছাড়া ‘আমার প্রেম আমার প্রিয়া’ এরপর তেমন মৌলিক ছবির গল্প পাইনি। তাই এই ছবিটির মুক্তির অপেক্ষায় ছিলাম। ছবিটি নিয়ে আমার অনেক বড় আশা আছে, এটিও কোনো কারণ হতে পারে (হাসি)। চলচ্চিত্রে প্রাপ্তি-অপাপ্তি... আমি সেই ছোট্ট বেলা থেকেই সালমান শাহ ভক্ত। মূলত তাকে ফলো করেই আমার চলচ্চিত্রে আশা। তবে শুরু থেকে অগণিত এত দশর্কদের ভালোবাসা পেয়েছি। সেখানে আমার প্রাপ্তির সংখ্যাটাই অনেক বেশি। অন্যদিকে টিভিতে রিমোটর্ নিয়ে বসে থাকতাম শুধু আমার এই প্রিয় নায়ককে এক নজর দেখার জন্য। তার চুল কাটা, গেটআপ, স্টাইল বেশ করে আমি এখনো ডান হাতে ঘড়ি পরে থাকি। তবে অপ্রাপ্তি আছে অমর নায়ক সালমান শাহ’র সঙ্গে একটি যদি ছবিতে অভিনয় করতে পারতাম। চলচ্চিত্র নিয়ে আক্ষেপ... বতর্মান চলচ্চিত্র নিয়ে তো আক্ষেপের শেষ নেই। সারাদিন বলেও শেষ হবে না। এখানে অনেকেই দূর থেকে শুধু শুনেই যায়। সামনে এসে কেউ দেখেন না। তবে পরিচালক আর প্রযোজকদের একটি কথা বলতে চাই। বড় হিরোদের সঙ্গে ছবি করার আগে তারা কিন্তু দেশের বাইরে গান, লোকেশন, ফাইট নিয়ে চিন্তা করেন। আর আমাদের বেলায় ভাবেন পুবাইল আর হোতা পাড়া। আমাদের নতুনদের নিয়ে বড় বড় লোকেশন আর দামি ড্রেসআপ দিয়ে দেখেন না। আমরাও পারি কিনা। সবচেয়ে বড় দুঃখ হলো যারা বড় মাপের হিরো প্রযোজক আর পরিচালকরা তাদের নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। তাতে দিনশেষে সব ছবিই কিন্তু ফ্লপ। এত কিছু না ভেবে তাদের কাছে আমার একটাই চাওয়া সবাইকে নিয়ে কাজ শুরু করুন। তাহলে আমাদের দেশীয় চলচ্চিত্র আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা... ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তো আমার তেমন কিছু নেই। আমার চাওয়া চলচ্চিত্রের ভালো একটা দিন আবার ফিরে আসুক। চলচ্চিত্র আগের সুদিনে ফিরিয়ে আনতে একমাত্র সরকারই দ্বারাই সম্ভব। কোনো অশুভ শক্তি আর অনেকের ক্ষমতা দ্বারা সম্ভব নয়। চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরিয়ে আনতে একমাত্র ভরসাই হলো সরকার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে