মানুষকে নিরাপদ পানি পান করার ব্যাপারে উৎসাহিত করছেন এই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। নদীমাতৃক দেশ হলেও পানযোগ্য পানির ব্যাপারে অসচেতন মানুষ। পিপাসা মেটাতে আমরা যা পান করছি, তার সবই কিন্তু নিরাপদ পানি নয়। এই যুক্তিতে পৃথিবীতে অন্য দেশের মতোই বিশুদ্ধ পানির সংকটে বাংলাদেশও ভুগছে। পিওরইট নামের একটি পণ্যের প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন চঞ্চল।
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, পঁাচ বছর বা এর কমবয়সী শিশু মৃত্যুর শতকরা ৬ শতাংশই ঘটে থাকে পানিবাহিত রোগের জন্য। আপনারা অনেকেই হয়তো এখনো ফুটিয়ে কিংবা পুরনো উপায়ে পানি পরিশোধন করে থাকেন। আমিও একই কাজ করতাম। কিন্তু পানির দূষণ যেভাবে বেড়েছে, ফুটিয়ে কিংবা পুরনো পদ্ধতিতে পানি পরিশোধন প্রক্রিয়া কোনোভাবেই শতভাগ নিশ্চিত সুরক্ষা দিতে পারে না। ’
চঞ্চল চৌধুরী আরও বলেন, ‘বিশুদ্ধ পানির জন্য অ্যাডভান্সড টেকনোলজির বিকল্প নেই। নিরাপদ খাবার পানির সহজ সমাধান পিওরইট পিউরিফায়ার। পিওরইট পানিকে বিশুদ্ধ করে চারটি ধাপে। এজন্য আলাদা করে বিদ্যুৎ কিংবা গ্যাসেরও প্রয়োজন হয় না। একেবারেই ঝামেলাহীন, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী হওয়ায় বতর্মানে আমি নিজেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পিওরইট-এর ব্যবহার শুরু করছি। নিজের পরিবারের পানির সুরক্ষায় কোনো আপস নেই।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বাজারে কাজ করে আসছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের পিউরিফায়ার ব্র্যান্ড পিওরইট। দেশের বাজারে শুধু কেনা-বেচাতেই তারা সীমাবদ্ধ নয়, নিরাপদ পানির ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ‘এসডিজি-৬’ নিয়ে কাজও করছে তারা। ঢাকার বিভিন্ন শপিং মলে পাওয়া যায় পিওরইট-এর পিউরিফায়ার। এ ছাড়াও নিউমাকের্ট, এলিফ্যান্ট রোড, বসুন্ধরা সিটি, মিরপুর, উত্তরা, গুলিস্তান, রামপুরাসহ বিভিন্ন প্লাস্টিক ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকানে পাওয়া যাচ্ছে এই পিউরিফায়ার।