এই সময়... আমি আসলে সবসময়ই শুটিংয়ের মধ্যে থাকি। ঈদের নাটকের কাজ শুরু হয়ে যাবে কিছু দিনের মধ্যেই। তখন ব্যস্ততা আরও বেড়ে যাবে।
পর্দার গল্প...
ছোট পর্দা কিংবা বড় পর্দা, দুই মাধ্যমেই কাজের সুযোগ হয়েছে। নাটকের মানুষ হয়ে বড় পর্দায় কাজ করতে যাব, দর্শক আমাকে কীভাবে নেবে এসব চিন্তা আমি পাত্তা দেইনি। অভিনয়টাকেই গুরুত্ব দিয়েছি।
নায়িকা...
একটা সময় নিজেকে নায়িকা হিসেবে ভাবতে বেশ ভালো লাগত। কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে নিজেকে অভিনেত্রী হিসেবে দেখতে ভালো লাগে। আমি অভিনয়ই করতে চাই। তথাকথিত নায়িকা হওয়ার ইচ্ছা নেই।
দুই বাংলা...
দুই বাংলার দর্শকের রুচি আলাদা। আমার সুযোগ হয়েছে দুই বাংলার দর্শকদের কাছে যাওয়ার। যদিও কাজের ক্ষেত্রে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। পার্থক্যটা হয় মানুষের সঙ্গে মানুষের। একজন পরিচালকের সঙ্গে আরেকজন পরিচালকের। তবে আমাদের এখানকার শিল্পীদের থেকে কলকাতার শিল্পীরা বেশি প্রফেশনাল। ওদের কাছে কাজটিই মুখ্য। ওখানকার প্রোডাকশন বয় ও প্রফেশনাল। আমাদের এখানেও প্রফেশনালিজম বাড়ছে।
'এপার ওপার'...
কলকাতার মানুষ আমাকে চেনে 'ষড়রিপু'র জন্য। তবে 'এপার ওপার' সিনেমায় কাজ করে সবচেয়ে বেশি মজা পেয়েছি। হরনাথ চক্রবর্তীর মতো এত গুণী একজন নির্মাতার সঙ্গে কাজের সুযোগ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। এ ছবির গল্পটা বাংলাদেশ ভারত নিয়ে। যুদ্ধ হওয়ার দশ বছর পেছন থেকে শুরু হয় গল্পের পস্নট। সেখানে মুক্তিযুদ্ধ থাকে। হালকা প্রেম থাকে। গল্পের শেষে ছিটমহলের প্রসঙ্গ আসে। এখানে আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার সৌরভ চট্টোপাধ্যায়।
বর্তমান টিভি নাটক...
টিভি পর্দায় দর্শকদের আটকে রাখা যাচ্ছে না এমন অপবাদ দর্শকদের দিয়ে লাভ নেই। আমরা সবাই অস্থির। কেউই কোনো কাজ মন দিয়ে করছি না। দর্শক না মনোযোগ দিয়ে দেখছে নাটক, না আমরা মনোযোগ দিয়ে করছি অভিনয়। যার কারণে কোনোকিছুই আমাদের ভালো লাগছে না। সত্যি বলতে আমাদের এখানে অনেক ভালো ভালো কাজ হচ্ছে কিন্তু ভালো কাজ বোঝার মতো স্থিরতা নেই আমাদের মাঝে।