বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষেপ

নতুনধারা
  ২৬ মে ২০১৯, ০০:০০

ডক্টরেট ডিগ্রি

অর্জন করলেন

মতিন রহমান

বিনোদন রিপোর্ট

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক মতিন রহমান চলচ্চিত্রের ওপর গবেষণার জন্য পিএইচডি অর্জন করেছেন। তার এই ডিগ্রি অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র পরিচালকদের মধ্যে থেকে তিনি এক নতুন যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। কারণ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তার এই ডিগ্রি অর্জনের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রবাসীর মধ্যে এক অন্যরকম উচ্ছ্বাস বয়ে যাচ্ছে। বলা যায় প্রায় সবাই মতিন রহমানকে তার এই সাফল্যে অভিনন্দিত করছেন। 'বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে লোকজ উপাদানের প্রয়োগ কৌশল ও নন্দন ভাবনা' বিষয়ের ওপর মতিন রহমান গবেষণা করে এই ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ঋত্বিক ঘটকের 'তিতাস একটি নদীর নাম', এ জে কারদারের 'জাগো হুয়া সাভেরা', জহির রায়হানের 'বেহুলা', সালাহউদ্দিনের 'রূপবান', আমজাদ হোসেনের 'গোলাপী এখন ট্রেনে' এবং হুমায়ূন আহমেদ'র 'আগুনের পরশমনি' এই ছয়টি সিনেমার নির্মাণে লোকজ উপাদানের প্রয়োগ কীভাবে হলো এবং তার নন্দন ভাবনা ছিল কী না তা নিয়েই গবেষণা করেছেন মতিন রহমান। সিনেমাগুলোর গানে, সংলাপে, পোশাকে লোকজ উপাদানের প্রয়োগ বিশ্লেষণ করে এর নতুন করে বিচার করে মতিন রহমান প্রমাণ করেছেন, এসব সিনেমাতে নন্দন ভাবনা ছিল। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ড. আমিনুল ইসলাম দুর্জয়ের অধীনে মতিন রহমান এই গবেষণা করেন। তার পরীক্ষক হিসেবে ছিলেন ড. কাবেরী গায়েন ও ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ।

নিজের এমন সাফল্যে বেশ উচ্ছ্বসিত মতিন রহমান বলেন, 'সিনেমা নির্মাণের শুরুর সময় থেকেই বই পড়ার প্রতি আমার ভীষণ আগ্রহ ছিল। আমার সবসময়ই মনে হতো যে সিনেমা নির্মাণ করতে হলে নিজেকে বেশি বেশি জানতে হবে। এর বিকল্প নেই। কারণ আমি মনে করি সিনেমা হলো নানান শিক্ষার সংমিশ্রণ। যার ফলে সিনেমা নির্মাণ করতে গিয়ে আমার সবসময়ই আগ্রহ ছিল এর শেষ কোথায়, এটা দেখার। সেই আগ্রহ থেকেই আমার অর্জিত বিষয়ের ওপর গবেষণার আগ্রহ জন্মায়।'

মোরগ লড়াই

নিয়ে টেলিফিল্ম

বিনোদন রিপোর্ট

প্রেম, পারিবারিক গল্প, কমেডি গতানুগতিক এসব গল্পের বাইরে দেশের ঐতিহ্যবাহী মোরগ লড়াই নিয়ে নির্মিত হয়েছে ঈদের বিশেষ টেলিফিল্ম 'দোস্ত দুশমন'। জনপ্রিয় অনলাইন কনটেন্ট পস্ন্যাটফর্ম বঙ্গের প্রযোজনায় এটি নির্মাণ করেছেন সহিদ উন নবী।

টেলিফিল্মের মূল গল্প ভাবনা নির্মাতার। যৌথভাবে চিত্রনাট্য করেছেন শিহাব মাছুম ও নবী নিজেই। এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সজল, মিশু সাব্বির, প্রভা, মনিরা মিঠু, শহীদুল আলম সাচ্চু, মিলন ভট্ট।

টেলিফিল্মটি নিয়ে নির্মাতা নবী জানান, এ গল্প নিয়ে কাজ করতে তার অনেক স্টাডি করতে হয়েছে। তার দাবি, তিনিই প্রথম মোরগ লড়াইয়ের ঐতিহ্যকে টিভি পর্দায় তুলে আনছেন। নির্মাতা নবী মনে করেন, এ নাটকের মাধ্যমে দর্শক মোড়গ লড়াই সম্পর্কে জানতে পারবেন।

টেলিফিল্মটি নিয়ে নির্মাতা নবী বলেন, 'দুই বছর আগে এ গল্পটি মাথায় আসে। এরপর বিভিন্নভাবে মোরগ লড়াই তথ্য সংগ্রহ করে চিত্রনাট্য সাজাই। রাজধানীর বসিলায় ৫তলা একটি বাড়িতে ২০ বছর ধরে লড়াইয়ের অংশ নেয়া মোরগ পালেন এক ব্যক্তি। এই মোরগগুলো বিভিন্ন জেলায় মোরগ লড়াইয়ে অংশ নেয়। সেখান থেকে ৪০টি মোরগ এনে শুটিং করেছেন নির্মাতা নবী। টেলিফিল্মটিতে সবকিছু রিয়েলিস্টিকভাবে তুলে ধরেছি। টেলিফিল্মের মূল গল্পটা এই মোরগ লড়াই নিয়ে। সজল-মিশু দুজনার গলায় গলায় বন্ধুত্ব একটা সময় ভেঙে যায়। মোরগ লড়াইয়ের মাধ্যমে আবার তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক নতুন মোড় নেয়।' তিনি বলেন, 'ভালো কনটেন্টের দিকে না ছুটে এখন ভিউয়ের পিছনে ছুটছে বেশির ভাগই। কিন্তু আমরা ভুলেই যাচ্ছি কনটেন্ট ভালো হলে ভিউ এমনিতেই হবে। কনটেন্ট ভালো হবে যদি গল্প ভালো হয়। সেটা দর্শক দোস্ত দুশমনের মাধ্যমে বুঝতে পারবে।'

সূত্রাপুর, বসিলা, গেন্ডারিয়ার, লালবাগ বিভিন্ন লোকেশনে নাটকটি শুটিং হয়েছে। জানা যায়, আসন্ন ঈদে এনটিভির ঈদ অনুষ্ঠানমালায় প্রচার হবে 'দোস্ত দুশমন'।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<51113 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1