হঠাৎ গানে...
হুট করেই গাওয়া। এত ভালো অভিনয় করেও তো ডিজিটাল যুগে তাল মিলিয়ে চলতে পারছি না। মজা করে বলা যায়, একটু আলোচনায় থাকার চেষ্টা করলাম মাত্র। তবে গানটি গাওয়ার পেছনে বেশি জোর ছিল পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক ভাই আর আমার বন্ধু চিত্রনায়ক অমিত হাসানের। আমি একা থাকলে বেশ গুন গুন করে গান করলেও প্রফেশনাল গান গাইতে পারি না। তবে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে অমিত হাসান জোর করে করে আমাকে সামনে এগিয়ে দেয়। জানি না কেমন গেয়েছি। আগে দর্শক-শ্রোতারা গানটি শুনে বিচার করুক। তবেই তো নিজের সার্থকতা।
চলমান সময়...
আমার শেষ অভিনয় মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের 'কিছু আশা, কিছু ভালোবাসা' চলচ্চিত্রটি। এরপর দেশ ও বিদেশে পারিবারের সাথে সময় দিচ্ছি। কয়েকটি প্রযোজনা সংস্থার সাথে কথা বলে আমি নিজেও প্রযোজনায় আসতে চেয়েছিলাম। অনেকটা সময় অভিনয় থেকে বিরতিতে থাকার কারণে বড় একটা গ্যাপ হয়ে গিয়েছে। চাইলেই তো আর ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো যায় না। এরমধ্যে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলাম। যার কারণে সব পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে। অন্যদিকে ওজন কমানোর জন্য পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিচ্ছি। যার কারণে নিজের পছন্দসই খারাবগুলো খেতে পারছি না। তবে সবাইকে জানিয়ে খুব শিগগিরই কাজে ফিরব।
সিদ্ধান্তে অটল...
আমি নিজেকে মনে-প্রাণে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ছাড়া অন্য কোনো কিছু ভাবি না। মাঝে মাঝে টিভি বিজ্ঞাপন করতাম। এর বাইরে এখন পর্যন্ত কোনো নাটকে অভিনয় করিনি। করবও না। এমনকি মিউজিক ভিডিও কিংবা চলমান ওয়েব সিরিজ জোয়ারেও গা ভাসাব না। যদি কখনো ফিরতে হয় তাহলে বড় পর্দার মাধ্যমেই ফিরব। কেননা আমি চলচ্চিত্রের বাইরে কাজ করতে চাই না।
ইচ্ছে পূরণ...
আমার প্রথম শখ পূরণ হয়নি। ইচ্ছা ছিল পাইলট হওয়ার কিন্তু হয়ে গেলাম নায়িকা। তবে আমার শিল্পীজীবন সার্থক। সৃষ্টিকর্তা, আমাকে এক জীবনে নাম, খ্যাতি, যশ, সুনাম সবই দিয়েছেন। অনেকেই তো চায় জীবনে সে নায়ক কিংবা নায়িকা হবে। সেটা সবার কপালে জোটে না। চলচ্চিত্র থেকে আমি তো সবই পেয়েছি। মানুষের জীবনে কখন কী ঘটে, তা তো বলা যায় না! একজন নায়িকার জীবনে বহুমাত্রিক চরিত্রে অভিনয় করেছি এটাই বা কম কিসে।