সাপলুডু প্রসঙ্গে...
প্রত্যেক অভিনয় শিল্পীই চায় তার সিনেমাটি ভালো চলুক, দর্শক আগ্রহ নিয়ে হলে গিয়ে দেখুক। কারণ একটি সিনেমা খেটে বানানো হয়। খুব দরদ দিয়ে প্রতিটি সংলাপ, অ্যাকশন কিংবা রোমান্স ডেলিভারি দেয়া হয়। সাপলুডু'র বেলায়ও তেমনটি হয়েছে। কার্যতই এ সিনেমাটি নিয়ে আমি আশাবাদী। ইতিমধ্যেই এর ট্রেলার ও ফার্স্ট লুক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ হইচই হচ্ছে। ট্রেলারেই এতটা সাড়া পাব, কল্পনায়ও ছিল না। দর্শকরা ট্রেলার ও পোস্টার যেভাবে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে, আশা করছি এর প্রতিটি শো হাউজফুলই হবে।
ট্রেলারই সব নয়...
আমরা শুরু থেকেই সাপলুডু'র ট্রেলারকে গুছিয়ে দর্শকের সামনে উপস্থাপন করতে চেয়েছিলাম। যাতে একটি সাসপেন্স থাকে। তবে দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, ট্রেলারে যেমনটি দেখানো হয়েছে, পুরো সিনেমাটি তেমন নাও হতে পারে। অর্থাৎ ট্রেলারই সব নয়। সাপলুডু'র গল্পটাই অন্যরকম। যেটা এখনই সব বলে দেয়া উচিত হবে না।
পলিটিক্যাল থ্রিলার...
সাপলুডু'র গল্পকে এক কথায় ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। তবে এ সিনেমার চরিত্রগুলো আমাদের আশপাশের বাস্তবিক বিষয় থেকেই নেয়া হয়েছে। সাপলুডুকে একটি পলিটিক্যাল থ্রিলার ধাঁচের সিনেমা বলা যেতে পারে। এর বেশি বলতে যাচ্ছি না। বাকিটা হলে গিয়ে দেখতে হবে (হাসি)।
যাচাই-বাছাই...
খুব যে যাচাই বাছাই করে কাজ করা হয় এমনটি নয়। নতুন কাজ হাতে নেয়ার আগে গল্পটা বোঝার চেষ্টা করি। যদি কোনো গল্প মনে ধরে, তবে কাজে নেমে যাই। সে জন্যই 'সাপলুড'ু করা। এ ছবির পরিচালক গোলাম সোহরাব দোদুল ভাই চমৎকারভাবে কাজ আদায় করে নিয়েছেন। সেটা দর্শক হলে গেলেই বুঝতে পারবে। আমি চাই কিছু দিন পরপরই ভালো ভালো কাজ নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হতে। সব সময় ব্যাটে বলে মিলে না। অনেক বাধা-বিপত্তি ডিঙ্গিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়।
মিশন এক্সট্রিম...
মিশন এক্সট্রিমের বেশিরভাগ কাজই শেষ। সামান্য কিছু কাজ বাকি আছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই বাকি থাকা কাজটুকু শেষ হয়ে যাবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুর দিকে সিনেমাটি মুক্তি পাবে।
\হ