শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্থগিত হতে পারে শিল্পী সমিতির নির্বাচন

বিনোদন রিপোর্ট
  ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত এখন সিনেমাপাড়ায়। একের পর ঘটনা-রটনা, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ আর নানা কাদা ছুড়াছুড়িতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এফডিসিতে। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই নতুন ঘটনার জন্ম নিচ্ছে। এরইমধ্যে আইনি জটিলতায় পড়ে হঠাৎ করেই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে এই নির্বাচন। নির্বাচন স্থগিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন শিল্পী সমিতির সাবেক দুই সদস্য। তারা হলেন মো. সোহেল খান ও মো. হোসেন লিটন। তাদের পক্ষে নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গোলাম মোহাম্মদ সাইফুর রহমান। জানা গেছে, নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। তা না হলে তারা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও উলেস্নখ করা হয়েছে নোটিশে।

আসন্ন নির্বাচনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ এনে এই নোটিশ পাঠান তারা। নোটিশে নির্বাচন স্থগিত করার ৯টি কারণ উলেস্নখ করা হয়েছে। নোটিশে উলেস্নখ করা হয়, শিল্পী সমিতির নির্বাচন সামনে রেখে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটি অন্যায়ভাবে তাদের সদস্যপদ বাতিল করেছে। সেই সঙ্গে ভোটার তালিকায় নিজেদের কাছের লোকদের ভোটার করেছে। নোটিশে আরও উলেস্নখ করা হয়, চলচ্চিত্রের শিল্পী সমিতির ১৮১ জন সদস্যকে ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে সহযোগী সদস্য করে রাখা হয়েছে। পছন্দমতো ভোটার তালিকা করা হয়েছে বলেও উলেস্নখ করা হয়। পূর্বের কমিটি তাদের ইচ্ছামতো কাজ করে ১৮১ জন শিল্পীর ভোট দান থেকে বঞ্চিত করেছে। যা অন্যায় ও আইনবহির্ভূত কাজ।

লিগ্যাল নোটিশের চার নম্বরে উলেস্নখ করা হয়েছে, সমিতির গঠণতন্ত্র ৫ (খ) ধারায় একজন অভিনয় শিল্পীকে পাঁচটি সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে মূল ভূমিকায় অভিনয় করতে হবে। এরপরই তাকে সমিতির সদস্যপদ দেয়ার জন্য বিবেচনা করা হয়। কিন্তু নতুন ভোটার যারা হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের দুটি ও তিনটি করে সিনেমায় অভিনয় করা। কেউই পাঁচটি সিনেমায় অভিনয় করেননি, তাদেরই সদস্য করে নেয়া হয়েছে। যা সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অন্যায়। এ ছাড়াও নতুন সদস্য এইচ আর অন্তর একটি মাত্র সিনেমায় অভিনয় করেই সদস্য হয়েছেন। এ বিষয়গুলো চলচ্চিত্র শিল্পীদের কাছে অপমানজনক।

এদিকে, উকিল নোটিশ এখনো হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, নোটিশ হাতে পেলে এরপর পরববর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

আগামী ২৫ অক্টোবর শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত না নিলে বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়াবে। এতে করে নির্বাচন স্থগিত হতে পারে।

এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়াই করছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও খলনায়ক মিশা সওদাগর। সহ-সভাপতির দুটি পদে প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, রুবেল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরা। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রতের বিপরীতে কেউ নেই। আন্তর্জাতিক বিষয়ক-সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদ একটি। লড়বেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অর্থাৎ সুব্রত জ্যাকি আলমগীর এবং ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তারা হলেন, অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<71394 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1