সহ-সভাপতি প্রার্থী...
এবারের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক (২০১৯-২০২১) নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে দাঁড়িয়েছি। ২৫ অক্টোবর নির্বাচন। আপাতত নির্বাচনের প্রচারণায় ব্যস্ততা যাচ্ছে। আশা করি ভোটাররা তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে চলচ্চিত্রশিল্পীদের উন্নয়নে আমাকে কাজ করার সুযোগ করে দিবেন।
নির্বাচনী পরিবেশ...
নির্বাচনী পরিবেশ আমার কাছে ভালোই মনে হচ্ছে। শিল্পীদের মনে আনন্দ বিরাজ করছে। কিছু বিষয়ে নানা কথার সৃষ্টি হয়েছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে মৌসুমীকে একা করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ এনে শ্রেফ আমাদের কলঙ্কিত করা হচ্ছে। বিষয়গুলো খুবই লজ্জা ও দুঃখজনক। মৌসুমী একজন গুণী অভিনেত্রী। চলচ্চিত্রে তার সম্মান আছে। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য অনেক কিছু করেছেন। তাকে এভাবে নির্বাচনের মতো যুদ্ধে নামিয়ে যারা পেছন থেকে সরে গেলেন, তারা খুব খারাপ কাজ করেছেন। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। চিত্রনায়িকা মৌসুমীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি- যারা নির্বাচনে তাকে নামিয়ে দিয়েছে, তারা কেন আজ তার সঙ্গে নেই? তারাই তো তাকে এই যুদ্ধে নামিয়ে দিয়ে পেছন থেকে কেটে পড়েছেন। এটা অবশ্যই খারাপ কাজ করেছে তারা।
হুমকির মুখে চলচ্চিত্র...
গুটিকয়েক লোকের জন্য আজ এই চলচ্চিত্র অঙ্গন হুমকির মধ্যে পড়ে আছে। আমরা যাদের চলচ্চিত্রে কাজ করার সুযোগ দিয়েছিলাম তারাই নাকি এখন চলচ্চিত্রে রাজত্ব করছেন। সে চলচ্চিত্র অঙ্গন ছেড়ে দিলে কি এই অঙ্গন বন্ধ হয়ে যাবে! এ কথাগুলো সত্যিই হাস্যকর। যে চলচ্চিত্রগুলো এখন হিট হচ্ছে সেগুলো কিন্তু তার বাইরে। চলচ্চিত্রের আসল শক্তি হলো দর্শক। একটা সময় এই চলচ্চিত্রে কোনো নোংরা পরিস্থিতি ছিল না। ছিল শুধু শুটিং আর শুটিং। সে সময়গুলো খুব মিস করি।
সময় কাটে...
আমার পরিচালনায় একাধিক ক্যারাতে স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। পাশাপাশি একটি নতুন ছবিতে পরিচালনার কথাও পরিকল্পনার কথা ভাবছি। প্রায় সব কিছু ফাইনাল হয়ে আছে। নির্বাচনের পর পরিকল্পনামাফিক কাজ করব।
ভবিষ্যৎ নিয়ে...
বয়স তো আর কম হলো না। তবে অভিনয় প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাব। পাশাপাশি নিজের একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে চলচ্চিত্র প্রযোজনা করার পরিকল্পনা রয়েছে। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সবার উদ্দেশ্যে একটি কথা বলতে চাই- যে চলচ্চিত্র নিয়ে স্ট্যান্ডবাজি করবে আমরা সবাই মিলে তাকে প্রতিহত করব। সে যেই হোক। এই অঙ্গিকারবদ্ধ আমাদের মধ্যে থাকলেই পৃথিবীর কোনো অপশক্তি আমাদের রুখতে পারবে না।