আজকের যায়যায়দিন

টিভি নাটকের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি আফজাল হোসেন ও সুবণার্ মুস্তাফা। তাদের একসঙ্গে কোনো কাজ মানেই দশের্কর কাছে তা বিশেষ চমক। যুগের পর যুগ নিজেদের পদার্ রসায়ন দশর্কদের মুগ্ধ করেছে। আসছে ঈদ-উল আযহায়ও চমক নিয়ে হাজির হচ্ছেন এই তারকা জুটি। এটিএন বাংলায় ঈদের পরদিন রাত ৮টা ৩০ মিনিটে প্রচার হবে তাদের অভিনীত বিশেষ নাটক ‘নূরুল আলমের মধুচন্দ্রিমা’। এটি ঈদুল ফিতরে প্রচারিত ‘নূরুল আলমের বিয়ে’ নাটকের সিক্যুয়াল। বদরুল আনাম সৌদের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন আরিফ খান।

এবারের গল্পে দেখা যাবে, নূরুল আলম ও নিশাত বেগমের বিয়ে হয়েছে মাসখানেক হলো। শত ইচ্ছা সত্তে¡ও নানা ঝামেলায় মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া এখনো হয়ে ওঠেনি তাদের। না যাওয়ার পেছনে আরও একটা কারণ আছে সেটা হলো নূরুল আলম সাহেব কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না, কোথায় যাবেন মধুচন্দ্রিমায়। শেষ পযর্ন্ত এক সকালে মধুচন্দ্রিমার উদ্দেশ্যে রওনা হন এই দম্পতি। কিন্তু কপাল মন্দ, কিছুদূর যেতেই গাড়ি নষ্ট হয় তাদের। এবার মধুচন্দ্রিমার পরিকল্পনা নিজে হাতে তুলে নেন নিশাত বেগম। ঠিক এ সময় এক তরুণী উপস্থিত হয় নিশাত বেগমের কাছে আবদার নিয়ে। যে করেই হোক এক সপ্তাহের মধ্যে তাকে তার পছন্দমতো ছেলের সঙ্গে বিয়ে করিয়ে দিতে হবে। নয়তো মেয়েটির বাবা তার পছন্দের ছেলের সঙ্গে বিয়ে করিয়ে দেবে। আর যত দিন না নিশাত বেগম তাকে তার পছন্দমতো ছেলে ঠিক করিয়ে দেবে ততদিন সে এই বাড়িতেই থাকবে। বিপাকে পড়েন নিশাত বেগম ও নূরুল আলম। তারা মেয়েটির জন্য ছেলে খেঁাজা শুরু করেন। কিন্তু কোনো ছেলেই পছন্দ হয় না তানির। এর মাঝে নিশাত বেগমের ছেলে আসে ঢাকা থেকে। তাকে দেখেই নূরুল আলমের মাথায় চিন্তা আসে, বিয়ের বয়স তো ছেলেরও হয়েছে। মেয়েটিকে ছেলের সঙ্গে বিয়ে করিয়ে দেয়া যাক। কথাটা মন্দ ঠেকে না নিশাত বেগমের কাছেও। মেয়েটিকে নিশাত বেগমেরও পছন্দ। কিন্তু সমস্যা হলো ছেলেটি ও মেয়েটি ছোট্ট একটা বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। আর সেই ঘটনার সূত্র ধরে কেউ কাউকে দেখতে পারে না। নূরুল আলম ও নিশাত বেগম যতই চেষ্টা করে তাদের মিল করানোর, ততই বিগড়ায় ঘটনা। প্রায় রাতেই নিশাত বেগম কঁাদতে বসেন। কী হবে তাদের মধুচন্দ্রিমার। এই মেয়ের বিয়ে না হলে তো জীবনে আর মধুচন্দ্রিমাও হবে না!