বিনোদন রিপোর্ট
তারকাদের পেশাগত জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও দর্শকদের আগ্রহ রয়েছে। ফলে পান থেকে চুন খসলেই সংবাদের শিরোনাম হোন তারা। রটে প্রেম, বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে হাজারও রকমারি খবর। এই তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহী। শুক্রবার সকাল থেকেই বিভিন্ন অনলাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে মাহীর সঙ্গে স্বামী অপুর বিচ্ছেদের সংবাদ। সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করতে মাহীর একাধিক ঘনিষ্ঠসূত্রের উলেস্নখ করা হয় সেখানে। এমন খবরে নড়ে-চড়ে বসে ঢাকাই শোবিজ অঙ্গন। যদিও দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল মাহী ও অপুর বিচ্ছেদের গুঞ্জন। তাই বলে বছরের তৃতীয় দিনে এমন খবর অপ্রত্যাশিত। এর আগে বছরের প্রথম দিন মাহী তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন '১৯৯৩-২০১৯ পর্যন্ত আমার জীবনে কোনো প্রথম ভালোবাসা বা সত্যিকারের ভালোবাসা আসেনি।' এমন পোস্টের পর অনেকেই বিষয়টি দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে চাইছেন। তাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হয় মাহীর সঙ্গে। তিনি যায়যায়দিনকে বলেন, 'অপুর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমি এখনো তাকে ভালোবাসি। সে আমাকে ও আমার পেশাকে যথেষ্ট সম্মান করেন। আমাদের মধ্যে কোনো ঝামেলা নেই। এসব নামকাওয়াস্তে অনলাইন নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো সংবাদ প্রকাশ করছে। এর কোনো সত্যতা নেই। আমরা আজীবন একসঙ্গে থাকতে চাই।'
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশ কয়েক মাস ধরেই অপুর সঙ্গে থাকছেন না এই চিত্রনায়িকা। মাহী থাকছেন ঢাকায়, আর অপু সিলেটে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আগের মতো অপুকে নিয়ে মাতামাতি নেই মাহীর। এমনকি শোবিজ অঙ্গনের কোনো অনুষ্ঠান কিংবা শুটিং সেটে অপুকে এখন আর দেখা যায় না। সর্বশেষ মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের 'আনন্দ অশ্রম্ন'র শুটিংয়েও আসেননি অপু। কিন্তু একটা সময় মাহীর প্রায় সব ছবির শুটিংয়ে অপুকে দেখা গেছে।
কিন্তু কেন? এ বিষয়ে মাহীর ভাষ্য, 'সম্প্রতি আমি ব্যবসায় নেমেছি। ঢাকায় 'ভারা' নামের একটি ফ্যাশন হাউস তৈরি করছি। এখানে আমাকে যথেষ্ট সময় দিতে হচ্ছে। অপরদিকে অপুর সিলেটে ব্যবসায় আছে। সেখানে তার সময় দিতে হয়। তাই মাঝে-মাঝে আলাদা থাকটা স্বাভাবিক। তবে বেশির ভাগ সময়ই আমি অপুর সঙ্গে থাকি। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগের মতো ছবি দিতে ইচ্ছা করে না। আগে বুঝে ও না বুঝে অনেক শো-অফ করতাম। এখন ব্যক্তিগত বিষয়কে ব্যক্তিগতভাবেই রাখতে চাই। তাই সবসময় আমাদের এক সঙ্গে ছবি আপলোড করা হয় না। তবে ছবি আপলোড করি না বলেই ধরে নিতে হবে, আমাদের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ- এমনটি কিন্তু ঠিক নয়।'