গতানুগতিকের বাইরে...
বর্তমানে রোমান্টিক ঘরনার নাটকের কাজ বেশি করা হচ্ছে। এত রোমান্টিক নাটকে সত্যিই কাজ করতে চাই না। সাইকোলোজিক্যাল বা গতানুগতিক ধাচের বাইরে গিয়ে কাজ করতে চাই। তবে আমার কাছে আসা চিত্রনাট্যের বেশিভাগই থাকে রোমান্টিক গল্প নির্ভর। মাঝে মধ্যে তো একটি নাটকের সঙ্গে অন্য আরেকটি নাটকের মূল ধারণাটিই মিলে যাচ্ছে। এরপরেও চেষ্টা করি এমন কিছু চরিত্র বাছাই করতে, যেসব চরিত্রে আগে কখনো কাজ করিনি। এ ধরনের কাজের প্রস্তাব পেলে আমার ভালো লাগে।
অভিনয়ই আসল...
সিনেমা হচ্ছে আমার আল্টিমেট গোল। আমি সিনেমা করতে চাই। যদি অভিনয় করে দর্শককে বিনোদন দিতে পারি, তাহলে সিনেমার পর্দা হোক আর নাটক, সমস্যা হবে না। আমার কাছে নাটক, বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র বা শিল্পভিত্তিক চলচ্চিত্রের খুব বেশি পার্থক্য নেই। তবে একেকজনের গল্প বলার ঢঙ আলাদা। কেউ টেলিভিশনের জন্য একরকম গল্প বলে, কেউ সিনেমার জন্য অন্যভাবে। আসল কথা হলো, সব মাধ্যমেই একজন শিল্পীকে অভিনয় করতে হবে। চ্যালেঞ্জটা মূলত অভিনয় নিয়ে। আর আমি সে কাজটিই করতে চাই।
বাণিজ্যিক সিনেমার ভিত্তি দরকার...
আমার মতে, একটি দেশে বাণিজ্যিক সিনেমার ভিত্তি শক্তিশালী না হলে, বিকল্প ধারার সিনেমার বাজার ভালো যাবে না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিকল্প ধারার চলচ্চিত্রের প্রতি দর্শকের আগ্রহ বাড়ছে। একই সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক সিনেমাকেও মানসম্মত গল্প ও নির্মাণ নিয়ে বাজার ধরতে হবে।
ভালো ও মন্দের পার্থক্য...
একজন অভিনেতা হিসেবে ভালো ও মন্দ অভিনয়ের মধ্যে পার্থক্য করতে পারি। ভালো হলে নিজে থেকেই আন্দাজ করতে পারি। আবার খারাপ হলেও আন্দাজ করতে পারি। তবে আমার অভিনয় সব দর্শকের মন ছুঁয়েছে কিনা সেটা বলতে পারছি না। যদিও মাঝে মধ্যে কোনো কোনো চরিত্রের জন্য দর্শকের ইতিবাচক সাড়া পাই। এসব একজন অভিনেতার কাছে অনেকগুরুত্বপূর্ণ।