আজকের যায়যায়দিন

কথাবার্তা চলছে ...

ভালো নেই, তবে ভালো থাকার চেষ্টা করছি। এখনো ঢাকা ফেরার অনুমতি পাইনি। প্রশাসনের সঙ্গে দফায় দফায় কথাবার্তা চলছে। হয়ত শিগগিরই কিছু একটা হবে। তবে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, ফিরে আসার চেয়েও এখন সুস্থ থাকাটা জরুরি হয়ে পড়েছে।

কখনো ভাবিনি ...

গত রোববার ছিল আমার জন্মদিন। এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে জন্মদিন কাটাতে হবে, কখনো ভাবিনি। এরপরও বাচ্চারা (শিশু শিল্পীরা) আমার জন্য পুডিং বানিয়েছে, ছবি এঁকেছে। অনেকে আবার কবিতা আবৃত্তি করে শুনিয়েছে, গান গেয়ে শুনিয়েছে। এখানে সামর্থ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব সবটাই ওরা করেছে। এত দিন ধরে লঞ্চে আটকা থাকার কারণে সবাই আনন্দের উপসর্গ খুঁজছি। ছোট একটি উপসর্গ পেলেই হলো, সবাই সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ছি। সত্যি বলতে এই মুহূর্তে এ ছাড়া উপায় নেই।

শিল্পী সমিতির নতুন কমিটি / শপথের দিনে অপ্রীতিকর ঘটনা

স্থগিত রাখতে হয়েছে ...

'শান'র দুটি গানের শুটিং বাকি। সব ঠিক থাকলে এখন গান দুটির শুট করার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সম্ভব হচ্ছে না। রায়হান রাফির একটি সিনেমার অর্ধেক কাজ করেছি, বাকি অর্ধেক স্থগিত রাখতে হয়েছে। স্বপ্নবাজি সিনেমার তো আমার অংশের পুরোটাই বাকি। এমনকি বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পেছানো হয়েছে। অপারেশন সুন্দরবনেরও শেষ লটের কাজ বাকি রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কাজগুলো শুরু করা যাবে না।

বেগ পেতে হবে ...

এখন হয়ত পরিস্থিতির কারণে কাজ বন্ধ রেখেছি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এগুলো নিয়ে পুনরায় বসতে হবে। নতুন করে সিডিউল গুছিয়ে কাজে নামতে হবে। সব মিলিয়ে ভালোই বেগ পেতে হবে বলে মনে হচ্ছে। তখন সবাইকে সবার জায়গায় থেকে ছাড় দিয়ে চিন্তা করা ছাড়া উপায় থাকবে না।

হিসাব করে দেয়া ...

সিডিউলগুলো খুব হিসাব করে দেয়া হয়। যাতে একটা কাজ শেষে নতুন কাজ শুরু করার আগ পর্যন্ত বিশ্রাম ও প্রস্তুতি নিতে পারি। তবে জমে যাওয়া কাজগুলো শেষ করতে গিয়ে হয়ত নিজের জন্য রাখা সময়টা ব্যবহার করতে পারব না। এ ছাড়া প্রায় ৫০ দিনের মতো সুন্দরবনে আছি।