শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনের মৃত্যু আক্রান্ত ছাড়াল ৩০ হাজার

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৩ মে ২০২০, ০০:০০
করোনাভাইরাস

করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪ জন মারা গেছেন। এটি একদিনে সর্বোচ্চ মৃতু্যর রেকর্ড। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ৪৩২ জনের মৃতু্য হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৬৯৪ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩০ হাজার ২০৫ জনে।

শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাসবিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। বুলেটিন উপস্থাপন করেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও নয় হাজার ৯৯৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় নয় হাজার ৭২৭টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো দুই লাখ ২৩ হাজার ৮৪১টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও এক হাজার ৬৯৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ২০৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২৪ জন, যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃতু্যর রেকর্ড। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৩২ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হ?য়েছেন আরও ৫৮৮ জন। এ নি?য়ে সুস্থ হ?য়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ছয় হাজার ১৯০ জ?নে।

নতুন করে যারা মারা গেছেন, তাদের ১৩ জন ঢাকা বিভাগের, নয়জন চট্টগ্রাম বিভাগের, একজন বরিশাল বিভাগের এবং একজন ময়মনসিংহ বিভাগের। বয়সের দিক থেকে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী পাঁচজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চলিস্নশোর্ধ্ব দুজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচজন, ষাটোর্ধ্ব ছয়জন, সত্তরোর্ধ্ব দুজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সি একজন রয়েছেন। ১৫ জন মারা গেছেন হাসপাতালে, আটজন বাসায় এবং একজন হাসপাতালে আনার পথে মারা যান।

গত বৃহস্পতিবারের (২১ মে) বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ জন মারা গেছেন, যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃতু্যর রেকর্ড। ১০ হাজার ২৬২টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৭৭৩ জনের দেহে, যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগী কমলেও হয়েছে সর্বোচ্চ মৃতু্যর রেকর্ড।

শুক্রবারের বুলেটিনে বলা হয়, করোনা রোগী শনাক্ত বিবেচনায় এখন পর্যন্ত সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং মৃতু্যহার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরও ২২৫ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন চার হাজার ৬০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬২ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ২৮ জন।

সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে আছে ছয় হাজার ৩৪টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা আছে ৩৯৯টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট আছে ১০৬টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৫৬০ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই লাখ ৫৮হাজার ৯৪ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ১৯ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ তিন হাজার ১৭১ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৫৪ হাজার ৯২৩ জন।

দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য ৬২৬টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেওয়া যাবে ৩১ হাজার ৮৪০ জনকে।

বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।

চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন গোটা বিশ্বকেই কাঁপিয়ে দিচ্ছে। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৫২ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা তিন লাখ ২৫ হাজার প্রায়। তবে ২১ লাখের মতো রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।

বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তারপর দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃতু্যর মিছিলও।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<100463 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1