শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার মধ্যেই চীনে খোঁজ মিলল নতুন ভাইরাসের

যাযাদি ডেস্ক
  ০১ জুলাই ২০২০, ০০:০০
শূকরের রক্ত ও শ্লেষ্মা সংগ্রহ করা হচ্ছে

গোটা বিশ্ব যখন করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই সময়ই আরেক ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে চীনে। 'ফ্লু' ভাইরাস প্রজাতির নতুন এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে মহামারি বাধিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, শূকরবাহিত এ ভাইরাসটির আবির্ভাব সাম্প্রতিক হলেও এটি মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে সক্ষম।

মানুষ থেকে মানুষে সহজে ছড়িয়ে পড়তে ভাইরাসটি নিজেকে পরিবর্তিত করতে পারে। ফলশ্রম্নতিতে বিশ্বজুড়ে এর প্রাদুর্ভাবও সৃষ্টি হতে পারে বলে 'প্রসেডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস' জার্নালে লেখা নিবন্ধে আশঙ্কা করেছেন বিজ্ঞানীরা।

শূকরের ভেতরেই ভাইরাসটিকে নিয়ন্ত্রণ এবং এ প্রাণীটির মাংস ও মাংসজাত পণ্য খাতে কর্মরত শ্রমিকদের ওপর নজর রাখার ব্যবস্থা দ্রম্নত কার্যকরেরও পরামর্শ দিয়েছেন এ বিজ্ঞানীরা। নতুন এ ভাইরাস মোকাবিলায় মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা 'হয়ত খুব সামান্য, নয়তো একেবারেই নেই' বলেই অনুমান তাদের। সংবাদসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখনো সমস্যা সৃষ্টি না করলেও, মানুষকে সংক্রমিত করার 'সব বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন' এ ভাইরাসটির দিকে 'কড়া নজর' রাখা উচিত। বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাস মহামারির সমাপ্তি ঘটাতে প্রাণপণ চেষ্টার মধ্যেও বিশেষজ্ঞরা যেসব রোগের হুমকির ওপর নজর রাখছেন, তার মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জার একটি নতুন প্রজাতির অবস্থান ওপরের দিকেই।

করোনার আগে বিশ্বকে সর্বশেষ যে ফ্লু মহামারির মোকাবিলা করতে হয়েছিল, সেই সোয়াইন ফ্লু'র প্রাদুর্ভাব প্রথম দেখা দেয় ২০০৯ সালে, মেক্সিকোতে। আগের বছরগুলোতে দেখা দেওয়া অন্যান্য ফ্লু ভাইরাসের সঙ্গে সাদৃশ্য থাকার কারণেই সম্ভবত বেশিরভাগ বয়স্ক মানুষের শরীরেই সোয়াইন ফ্লুকে মোকাবিলা করার মতো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছিল; যার কারণে ভাইরাসটিকে প্রথম দিকে যতটা প্রাণঘাতী মনে হয়েছিল, ততটা ছিল না।

মানুষজনকে সুরক্ষিত রাখতে এখন বছর বছর যে ফ্লু'র টিকা খাওয়ানো হয়, তাতে সোয়াইন ফ্লু'র পেছনে থাকা ভাইরাস 'এ/এইচ১এন১পিডিএম০৯' প্রতিরোধী উপাদানও যুক্ত হয়েছে। চীনে ফ্ল'র যে নতুন প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে, তার সঙ্গে ২০০৯ সালের সোয়াইন ফ্লু'র অনেকখানি সাদৃশ্য থাকলেও, বেশ কিছু অমিলও আছে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।

গবেষকরা নতুন এ ভাইরাসের নাম দিয়েছেন 'জি৪ইএএইচ১এন১'। এটি মানুষের শ্বাসনালীর বিভিন্ন কোষে বিকশিত হয়ে চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে পারে। চীনে শূকরের মাংস ও মাংসজাত পণ্যের খাত এবং কসাইখানায় কর্মরতদের মধ্যে সম্প্রতি এ ভাইরাসটি সংক্রমিত হওয়া শুরু করেছে বলে প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বিশ্বব্যাপী এখন ফ্লু'র যেসব টিকা আছে, সেগুলো এ ভাইরাসকে মোকাবিলা করতে পারবে না বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ভাইরাসটি নিয়ে গবেষণা চালানো যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কিন-চোও চ্যাং বলেন, 'এই মুহূর্তে আমরা করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে বিপর্যস্ত। তবে আমাদের অবশ্যই সম্ভাব্য বিপজ্জনক নতুন ভাইরাসগুলোর প্রতি দৃষ্টি হারাতে দেওয়া ঠিক হবে না।' যদিও তিনি বলছেন, 'নতুন এই ভাইরাস হয়তো শিগগিরই আমাদের জন্য তেমন বিপজ্জনক সমস্যা হয়ে উঠবে না, তবুও আমাদের এটাকে অবহেলা করা উচিত নয়।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<104384 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1