শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কোরবানির হাটে পশু থাকবে পাঁচ ফুট শারীরিক দূরত্বে!

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৯ জুলাই ২০২০, ০০:০০
দেশের বিভিন্ন স্থানে জমতে শুরু করেছে কোরবানীর পশুর হাট। ছবিটি ফরিদপুর থেকে তোলা -যাযাদি

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাটে একটি পশু থেকে আরেকটি পশুর দূরত্ব পাঁচ ফুট থাকতে হবে। মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এমন পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এছাড়া পশুর হাট বসানোর জন্য পর্যাপ্ত খোলা জায়গা নির্বাচন, মাস্ক না থাকলে ক্রেতা-বিক্রেতাকে হাটে প্রবেশ করতে না দেওয়া, হাটের প্রবেশপথে তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণকারী যন্ত্র স্থাপন, শুধু স্বাভাবিক তাপমাত্রা (৯৮ দশমিক ৪ ফারেনহাইট) সম্পন্ন ব্যক্তিদের হাটে প্রবেশ করতে দেওয়া এবং অনলাইনে কোরবানির পশু কেনাবেচায় উদ্বুদ্ধ করাসহ বিভিন্ন পরামর্শ তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। সারাদেশের পশুর হাটে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ পরামর্শ ও নির্দেশনা পালিত হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন শীর্ষ দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, আসন্ন পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। পরামর্শগুলো চূড়ান্ত হলে তা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও অনলাইনে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশিত হবে।

ওই কর্মকর্তা জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে কোরবানির পশুর হাট থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি ও পরামর্শ মেনে চললে হয়তো সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যাবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে যেসব পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে হাটের জন্য খোলা জায়গা নির্বাচন, হাট বসানোর আগে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সামগ্রী যেমন- মাস্ক, সাবানসহ জীবাণুমুক্তকরণ সামগ্রী পর্যাপ্ত রাখার ব্যবস্থা, পরিষ্কার পানি সরবরাহ ও নিরাপদ বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখা, পশুর হাটের সঙ্গে জড়িত সব কর্মচারী ও হাট কমিটির সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, হাটের সঙ্গে জড়িত সব কর্মীকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধির প্রশিক্ষণ প্রদান যেমন- জনস্বাস্থ্যের বিভিন্ন বিষয়, মাস্কের সঠিক ব্যবহার, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার, হাত ধোয়া ও জীবাণুমুক্তকরণ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব সহকারে বোঝানো। হাট কমিটির সব কর্মীর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং কেউ অসুস্থ হলে দ্রম্নততম সময়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। গণশৌচাগারগুলোতে হাত ধোয়ার পর্যাপ্ত পরিমাণ তরল সাবান, সাধারণ সাবান এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মূল্য প্রদান ও বের হওয়ার সময় সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করা, সতর্কতার সঙ্গে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রয়োজনে এক মিটার বা দুই হাত দূরত্বে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করা এবং হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সংখ্যা ও তাদের চলাচল সীমিত করা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোশতাক হোসেন বলেন, কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এক্ষেত্রে জনগণকে হাটে এসে পশু কেনার চেয়ে অনলাইনে কেনায় উদ্বুদ্ধ করলে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের কাছে আসন্ন কোরবানিতে পশুর হাট বসানোর ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়বে কি না, এ প্রশ্ন করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে তিনি বলেন, সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ তৈরি হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<105280 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1