শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গণপরিবহণ নয়, ঈদে বন্ধ থাকবে পণ্য পরিবহণ

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৬ জুলাই ২০২০, ০০:০০
ছবিটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে তোলা -ফাইল ছবি

কোরবানির ঈদের আগে-পরে মিলিয়ে ৯ দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও কোরবানির পশু পরিবহণের যানবাহন ছাড়া পণ্য পরিবহণের অন্য সব যানবাহন বন্ধ রাখবে সরকার; এ সময় গণপরিবহণ চলাচল অব্যাহত থাকবে।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে লঞ্চ, ফেরি, স্টিমার চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ কর্মপন্থা নির্ধারণ নিয়ে বুধবার সচিবালয়ে এক বৈঠকের শুরুতে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঈদের আগে-পরে মিলিয়ে ৯ দিন গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছিলেন। তবে সভা শেষে তিনি বলেন, 'ঈদের আগে-পরে মিলিয়ে ৯ দিন অন্যান্য পণ্য পরিবহণ বন্ধ থাকবে। ঈদের আগের পাঁচ দিন ও পরের তিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও কোরবানির পশুর ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ফেরিতে চলাচল বন্ধ থাকবে। নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলবে; কিন্তু পণ্যবাহী জাহাজ চলবে না।'

সভার শুরুতে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছিল। আগের বক্তব্য থেকে সরে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বৈঠকে ওই প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছিল। তবে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলবে, কিন্তু পণ্যবাহী জাহাজ চলবে না।'

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কোরবানির ঈদে সব চাকরিজীবীকে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা ইতোমধ্যে দিয়েছে সরকার। গণপরিবহণ সীমিত পরিসরে চলাচল করায় ঈদের সময় সিদ্ধান্ত কী হবে তা জানতে সবার আগ্রহ রয়েছে।

সাংবাদিকদের অনুরোধে বুধবারের সভার শুরুতে ব্রিফিং করেছিলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ। ওই সময় তিনি বলেন, 'ঈদুল আজহার সময় জনগণের যাতায়াত সীমাবদ্ধ করার নিমিত্তে ঈদুল আজহার পাঁচ দিন আগ থেকে ঈদের তিন দিন পর পর্যন্ত গণপরিবহণ বন্ধ রাখার প্রজ্ঞাপন আদেশ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

তিনি বলেন, 'মানে ঈদের আগের পাঁচ দিন এবং পরের তিন দিন আমাদের গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। এটা সরকারের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন পেয়েছি আমরা, সেটা আমরা জানিয়ে দিলাম, সে আলোকেই আমরা পদক্ষেপগুলো নেব।'

'যারা ঈদে বাড়ি যেতে চান তাদের পাঁচ দিন আগে যেতে হবে এবং যারা আসতে চান তারা ঈদের তিন দিন পর আসতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে বলেছে, কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী তার স্টেশন লিভ করতে পারবেন না।' চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ জুলাই বা ১ আগস্ট কোরবানির ঈদ হবে। ৩১ জুলাই এবং ১ ও ২ আগস্ট ঈদের ছুটি নির্ধারণ করা আছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা আছে। আর গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত টানা সাধারণ ছুটির পর ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস চলছে। আগামী ৩ আগস্ট পর্যন্ত এভাবেই অফিস চলবে বলে সরকারি সিদ্ধান্ত রয়েছে।

মহামারির মধ্যে রোজার ঈদের সময় বিধিনিষেধ অনেক শিথিল করায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। রোজার ঈদের পর শুধু জুন মাসেই করোনা রোগীর সংখ্যা ১ লাখ বেড়ে যায়। দেশে এখন শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দুই লাখের কাছে পৌঁছেছে। এর মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার জনের মৃতু্য হয়েছে।

গত ১৩ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক আদেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে কোরবানির ঈদের ছুটিতে সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবশ্যই কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশ দেয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<106043 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1