বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
২৪ ঘণ্টায় ২৭ জনের মৃত্যু

দেশে করোনা আক্রান্ত আড়াই লাখ ছাড়াল

দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার পাঁচ মাসের মাথায় মোট মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে
যাযাদি রিপোর্ট
  ০৮ আগস্ট ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ০৮ আগস্ট ২০২০, ১১:১১

দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা আড়াই লাখ ছাড়াল। প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার পাঁচ মাসের মাথায় এ পর্যন্ত ২ লাখ ৫২ হাজার ৫০২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের টালিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় ইতালিকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ এখন রয়েছে ১৫ স্থানে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ হাজার ৮৫১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত আরও ২৭ জনের মৃতু্য হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতু্যর সংখ্যা ৩ হাজার ৩৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আইইডিসিআরের 'অনুমিত' হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৭৬০ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। তাতে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল মোট ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৪ জনে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা শুক্রবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, তা দুই লাখ পেরিয়ে যায় ১৮ জুলাই পর্যন্ত। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃতু্যর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৮ জুলাই সেই সংখ্যা তিন হাজার স্পর্শ করে। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃতু্যর খবর জানানো হয় বুলেটিনে, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃতু্য। নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৮৪টি ল্যাবে ১২ হাজার ৬৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১২ লাখ ৩৭ হাজার ৮২৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষাগারের তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে বনশ্রীর ফেমাস স্পেশালাইজড হাসপাতাল। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৪৫ শতাংশ, আর এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং মৃতু্যর হার তা ১ দশমিক ৩২ শতাংশ। বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারী। এর মধ্যে হাসপাতালে ২৬ জন ও বাড়িতে ১ জন রোগী মারা গেছেন। নাসিমা সুলতানা এদিন বুলেটিনে জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে ১৪২১.৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত ২৭ জনের মধ্যে ১ জনের বয়স ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে। এছাড়া ৪ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১২ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৩ জন ঢাকা বিভাগের, ৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন বরিশাল বিভাগের এবং ২ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এই পর্যন্ত যারা মারা গেছেন, তাদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে নাসিমা সুলতানা জানান, ষাটোর্ধ্ব রোগীদের মৃতু্যর হার ৪৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সি রোগীর মৃতু্যর হার ২৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সি রোগীর মৃতু্যর হার ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সি রোগীর মৃতু্যর হার ৬ দশমিক ৪২ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সি রোগীর মৃতু্যর হার ২ দশমিক ৬১ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সি রোগীর মৃতু্যর হার শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ ও শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সি রোগীর মৃতু্যর হার শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ। নাসিমা সুলতানা জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৩৭ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে প্রতি ১০ লাখে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৮২৪ দশমিক ২ জন। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৪০ দশমিক ৭ জন, রাজশাহীতে ৬০৮ দশমিক ৯ জন, খুলনায় ৬৬৩ দশমিক ৫ জন, বরিশালে ৬০৮ দশমিক ৮ জন, ময়মনসিংহে ৩৫৩ দশমিক ৮ জন, সিলেটে ৬৬৪ দশমিক ৩ জন, রংপুরে প্রতি ১০ লাখে ৩৪৭ দশমিক ৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে