নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রম্নপের সংঘর্ষ চলাকালে আত্মরক্ষার্থে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ দু'জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় জেলেরা তাদের জাল দিয়ে লাশ দু'টি উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
এর আগে সোমবার বিকালে বন্দর উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রম্নপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যায় মিহাদ ও জিসান। পরে এ গ্যাংয়ের ধাওয়া খেয়ে ইস্পাহানী ঘাট এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দেয় তারা। তারপর হতে তারা নিখোঁজ ছিল।
নিহতদের একজন বন্দরের কদমরসুল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র মিহাদ (১৮)। সে নাজিমউদ্দিন খানের ছেলে ও বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি কমল খানের ভাতিজা। অপরজন হলো বন্দরের বিএম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র জিসান (১৫)। সে বন্দর প্রেসক্লাবের সাবেক সেক্রেটারি কাজিমউদ্দিনের ছেলে।
মিহাদের খালাতো ভাই তানভীর জানান, শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ইস্পাহানী ঘাট এলাকায় বিকেলে স্থানীয় দুই গ্রম্নপ কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় একপক্ষের ধাওয়ায় আত্মরক্ষার্থে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দেয় মিহাদ। রাতে বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে জানতে পারে সংঘর্ষ ও ধাওয়ার ঘটনায় মিহাদ নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল।
ঘটনাস্থল থেকে মিহাদের চাচা বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি কমল খান জানান, লাশ দুটি উদ্ধার হয়েছে।
বন্দর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সফিকুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজ দু'জনেরই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ জনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।