শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে তিন কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

মিলন রহমান, যশোর
  ১৫ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কর্মকর্তা ও আনসার সদস্যদের অমানুষিক নির্যাতন ও মারপিটে তিন কিশোর নিহত ও আরও অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটলেও সন্ধ্যা রাতে লাশ হাসপাতালে আনার পর ঘটনা জানাজানি হয়। প্রথমে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা এটিকে দু'পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা দাবি করলেও পরবর্তীতে নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও প্রাথমিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এছাড়া সমাজসেবা অধিদপ্তর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

সূত্র জানায়, গত ৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কিশোরদের দুই গ্রম্নপের মারামারি হয়। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ওই ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আনসার সদস্য ও তাদের নির্দেশে কয়েকজন কিশোর অন্তত ১৮ জনকে বেধড়ক মারপিট করে। মারপিট নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের ফেলে রাখা হয়। কয়েকজন অচেতন থাকায় অজ্ঞান হয়ে গেছে মনে করলেও পরে তারা বুঝতে পারে এরা নিহত হয়েছে। এরপর সন্ধ্যারাতে এক এক করে তাদের লাশ হাসপাতালে এনে রাখা হয়।

আহত কিশোরদের দাবি, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের ১৮ জন বন্দিকে রুম থেকে বাইরে

\হবের করে আনা হয়। এরপর বিকাল ৩টা পর্যন্ত পালাক্রমে তাদেরকে লাঠিসোটা, রড ইত্যাদি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করা হয়। পালাক্রমে এভাবে মারপিটের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের ফেলে রাখা হয়। পরে কয়েকজন মারা গেলে সন্ধ্যারাতে তাদের লাশ যশোর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

নিহতরা হলেন, বগুড়ার শিবগঞ্জের তালিবপুর পূর্বপাড়ার নান্নু পরমানিকের ছেলে নাঈম হোসেন (১৭), একই জেলার শেরপুর উপজেলার মহিপুর গ্রামের আলহাজ নুরুল ইসলাম নুরুর ছেলে রাসেল ওরফে সুজন (১৮) এবং খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা পশ্চিম সেনপাড়ার রোকা মিয়ার ছেলে পারভেজ হাসান রাব্বি (১৮)। নিহত রাব্বির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ১১৮৫৩। আর রাসেল ও নাঈমের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার যথাক্রমে ৭৫২৪ ও ১১৯০৭। নাঈম হোসেন ধর্ষণ এবং রাব্বি হত্যা মামলার আসামি ছিল।

শুক্রবার যশোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, দুই পক্ষের বক্তব্যে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত, সংঘর্ষ নয়, মারপিটেই তিনজন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছে। কেন্দ্রের মধ্যে কেউ অপরাধ করলে, সেখানে অভ্যন্তরীণ শাস্তির রেওয়াজ আছে। সেটি করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি আমরা যাচাই বাছাই করছি।

হতাহতের ঘটনায় কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক আব্দুলস্নাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিলস্নাহ, সাইকো সোস্যাল কাউন্সিলর মুশফিকুর রহমানসহ ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হতাহতের ঘটনায় স্বজনদের মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে বের হয়ে পুলিশের খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, 'সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে মর্মান্তিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা যারা অপরাধ নিয়ে কাজ করি, ঘটনার প্রায় ছয় ঘণ্টা পরে বিষয়টি অবহিত হয়েছি। যে কারণে মূল ঘটনা জানা জটিল ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।'

তিনি বলেন, 'যারা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তারাই এই ঘটনার মূল সাক্ষী। মৃতু্যপথযাত্রী কেউই মিথ্যা কথা বলে না। তাদের কথার সত্যতা ও যৌক্তিকতা রয়েছে। আমাদের অনুসন্ধানে তাদের বিষয় গুরুত্ব পাবে।'

তিনি আরও বলেন, এখানে আসলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। আজকের ঘটনাটি একপক্ষীয়। মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাদী যে কেউ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত বা তাদের স্বজন অথবা তৃতীয় কোনো পক্ষ; সবশেষ কাউকে না পাওয়া গেলে পুলিশ তো রয়েছে। তদন্তাধীন ঘটনা হওয়ায় এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে তিনি রাজি হননি।

যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, কিভাবে এই কিশোররা হতাহত হলো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পরই পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

এদিকে, যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তিন বন্দি নিহত ও অন্তত ১৪ জন আহতের ঘটনায় দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। শুক্রবার (১৪ আগস্ট) প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই কমিটি গঠন করা হয়। তিন কর্মদিবসের মধ্যে সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির দুই সদস্য হলেন- সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) যুগ্ম সচিব সৈয়দ মো. নূরুল বাসির ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রতিষ্ঠান-২) এমএম মাহমুদুলস্নাহ।

মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে কমিটির পাঁচটি কার্যপরিধি উলেস্নখ করে দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- সরেজমিন শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র পরিদর্শন করে এ নৃশংস খুনের নেপথ্য সকল সূত্র উদঘাটন করতে হবে। এই ঘটনার সঙ্গে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের কোনো কর্মকর্তা- কর্মচারীর প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ কোনো সংশ্লিষ্টতা বা সম্পৃক্ত আছে কি না যাচাই করতে হবে। এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কেন্দ্রে অবস্থানরত নিরাপত্তাকর্মীদের ভূমিকা কি ছিল তা যাচাই করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক ও অন্য কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে কোনোরূপ উদাসীনতা, অবহেলা, গাফিলতি ও ব্যর্থতা ছিল কিনা তা যাচাই করতে হবে। এছাড়াও উপ-পরিচালক জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কোনো রূপ ব্যর্থতা ছিল কি না তাও যাচাই করতে হবে। এই বিষয়গুলো ছাড়াও অন্য কোনো বিষয় তদন্ত কমিটির দৃষ্টিগোচর হলে সেই বিষয়েও তদন্ত প্রতিবেদনে উলেস্নখ করতে বলা হয়েছে।

এদিকে, ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি বন্দি কিশোররা তুলে ধরেন তাদের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা। তারা জানান, ঘটনার সূত্রপাত ৩ আগস্ট, ঈদের দু'দিন পর। শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের আনসার সদস্য নূর ইসলাম কয়েকজন কিশোরের চুল কেটে দিতে চান। কিন্তু কিশোররা চুল কাটতে রাজি না হওয়ায় তিনি কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেন, ওই কিশোররা নেশা করে। এর প্রতিবাদে ওইদিন কয়েকজন কিশোর তাকে মারপিট করে।

আহত কিশোরদের দাবি, ওই ঘটনার সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ১৮জন বন্দিকে রুম থেকে বাইরে বের করে আনা হয়। এরপর বিকাল ৩টা পর্যন্ত পালাক্রমে তাদেরকে লাঠিসোটা, রড ইত্যাদি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করা হয়। পালাক্রমে এভাবে মারপিটের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের ফেলে রাখা হয়। পরে কয়েকজন মারা গেলে সন্ধ্যার দিকে তাদের লাশ যশোর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বন্দি চুয়াডাঙ্গার পাভেল জানায়, '৩ আগস্টের ঘটনার পর বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে আমাদের অফিসে ডাকা হয় এবং এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। আমরা ঘটনার আদ্যোপান্ত জানানোর এক পর্যায়ে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিলস্নাহ, প্রবেশন অফিসার মুশফিকসহ অন্য স্যাররা মারপিটে অংশ নেন।'

আহত আরেক কিশোর নোয়াখালীর বন্দি জাবেদ হোসেন জানায়, 'স্যাররা ও অন্য বন্দি কিশোররা আমাদের লোহার পাইপ, বাটাম দিয়ে কুকুরের মতো মেরেছে। তারা জানালার গ্রিলের ভেতর আমাদের হাত ঢুকিয়ে তা বেঁধে মুখের ভেতর কাপড় দিয়ে এবং পা বেঁধে মারধর করেন। অচেতন হয়ে গেলে আমাদের কাউকে রুমের ভেতর আবার কাউকে বাইরে গাছতলায় ফেলে আসেন। জ্ঞান ফিরলে ফের একই কায়দায় মারপিট করেছেন।'

যশোরের বসুন্দিয়া এলাকার বন্দি ঈশান জানায়, 'নিহত রাসেল আর আমি একই রুমে থাকতাম। আগামী মাসেই তার জামিনে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। স্যারদের বেদম মারপিট আর চিকিৎসা না পেয়ে সে মারা গেছে।'

সে অভিযোগ করে, 'প্রবেশন অফিসার মারধরের সময় বলেন, তোদের বেশি বাড় বেড়েছে। জেল পলাতক হিসেবে তোদের বিরুদ্ধে মামলা করে ক্রসফায়ারে দেওয়া হবে।'

আহতরা জানায়, মারধর করে তাদের এখানে সেখানে ফেলে রাখা হয়। পরে একজন করে মারা গেলে তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে চার দফায় আহতদের হাসপাতালে আনা হয়।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ সময় পর সন্ধ্যা ৭টায় রাব্বি, সুজন ও নাঈমকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অমিয় দাস বলেন, দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে তিনটি মরদেহ আসে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে। সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে নাইম হাসান, সাড়ে ৭টায় পারভেজ হাসান এবং রাত ৮টায় আসে রাসেলের মরদেহ। এ চিকিৎসক বলেন, 'একজনের মাথায় ভারী কোনো বস্তু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। অন্যদের শরীরের আঘাতের কোনো চিহ্ন এখনও শনাক্ত হয়নি।

কেন্দ্রের প্রশিক্ষক মুশফিক দাবি করেন, কয়েকদিন আগে সংশোধনাগারে শিশুদের দুই গ্রম্নপের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়। ওই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর আবার সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে নাইম, রাব্বি ও রাসেল হোসেন গুরুতর আহত হন। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক আব্দুলস্নাহ আল মাসুদ দাবি করেন, সংঘর্ষে দশজন আহত হয়েছেন।

এ সময় তারা সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দি পাভেল ও রবিউলের নেতৃত্বাধীন দুটি গ্রম্নপ রয়েছে। এই দুই গ্রম্নপ দুপুর দুইটার দিকে লাঠি ও রড নিয়ে সংঘাতে লিপ্ত হয়। এতে হাতহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহত তিনজন হলো রাব্বি, রাসেল ও নাঈম। এর মধ্যে পাভেল গ্রম্নপের সদস্য রাব্বি ও রাসেল আর রবিউল গ্রম্নপের সদস্য নাঈম।

যশোর পুলিশের ডিএসবি ডিআই-১ পুলিশ পরিদর্শক এম মশিউর রহমান জানান, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে এই ঘটনা দুপুরে ঘটলেও লাশ হাসপাতালে আনা হয়েছে সন্ধ্যার পর। ঘটনা জানাজানির পর রাতে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে যান যশোরের জেলা প্রশাসন তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেনসহ পুলিশের কর্মকর্তারা। মধ্যরাতে খুলনা থেকে ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, বালকদের জন্য দেশে দুটি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র আছে। যার একটি গাজীপুরের টঙ্গীতে, অন্যটি যশোর শহরতলির পুলেরহাটে। কিশোর অপরাধীদের জেলখানায় না পাঠিয়ে সংশোধনের জন্য এই উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখা হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তর এই কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রক। যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রায়ই অঘটন ঘটে। লাশ উদ্ধার, মারপিটের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলা, দুর্নীতির কারণে প্রতিষ্ঠানটিতে অনিয়ম জেঁকে বসেছে। এর আগে একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি এই তথ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য একগুচ্ছ সুপারিশ করেছিল। কিন্তু অবস্থার যে উন্নতি হয়নি; বরং অবনতি হয়েছে, তিন লাশ উদ্ধারের মাধ্যমে তা প্রমাণিত হলো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<108876 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1