শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাংলাদেশকে ফের দায়ী করলেন সু চি

যাযাদি ডেস্ক
  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০
অং সান সু চি

মিয়ানমার থেকে সামরিক অভিযানের মুখে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসনে ব্যথর্তার জন্য বাংলাদেশকে দায়ী করেছেন দেশটির নেত্রী অং সান সু চি।

ভিয়েতনামের হ্যানয়ে ওয়াল্ডর্ ইকোনমিক ফোরামে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে প্রত্যাবাসন-সম্পকির্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও জানুয়ারিতে এই প্রক্রিয়া শুরু করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত ছিল না।

তিনি আরও বলেন, রাখাইনে যেভাবে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়েছে, এখন ভাবলে মনে হয়, তা হয়ত ভিন্নভাবে সামাল দেয়া যেত।

গত বছরের আগস্ট মাসে রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তারা গণহত্যা, ধষর্ণ, নিযার্তনের অভিযোগ এনেছেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে

বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের একটি সমঝোতা হলেও এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি।

জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থার কমীর্রা বলছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি হয়নি। এ ক্ষেত্রে মিয়ানমার কতৃর্পক্ষ যথেষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলেও বলেছেন কমর্কতার্রা।

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর বামির্জ সেনাবাহিনীর হত্যাকাÐ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশকারী দুই সাংবাদিককে সাত বছরের কারাদÐ দেয়ার ব্যাপারে আন্তজাির্তক সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে অং সান সু চি বলেন, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য নয়, বরং আইন ভঙ্গ করার জন্য তাদের শাস্তি হয়েছে।

অং সান সু চি মিয়ানমারের নিবাির্চত প্রেসিডেন্ট নন, কিন্তু তাকেই দেশটিতে ক্ষমতার অধিকারী বলে মনে করা হয়। রোহিঙ্গা ইস্যু এবং দুই সাংবাদিককে কারাদÐ দেয়ার বিষয়ে তার বক্তব্য চেয়ে বিশ্বব্যাপী দাবি ওঠে।

বৃহস্পতিবার সেই নীরবতা ভেঙে অং সান সু চি এই বক্তব্য দিলেন।

এ সপ্তাহেই জাতিসংঘের একটি সংস্থা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে যে, দেশটি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।

অং সান সু চির এসব বক্তব্যের জবাবে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, তিনি সবকিছুই ভুল বুঝেছেন।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর শীষর্ কমর্কতাের্দর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তদন্ত করা উচিত বলে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ওই রিপোটের্ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যা, নিযার্তন, ধষর্ণ, যৌন দাসত্ব এবং দাসত্বে বাধ্য করার বণর্না করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, এসবের সঙ্গে সেখানে নিরাপত্তা হুমকির কোনো সম্পকর্ নেই।

তবে জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি মিয়ানমারের নেত্রী। বিবিসি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<12382 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1