অপেক্ষার পালা শেষ, সময় আর বেশি নেই। চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে শারদীয় দুগার্পূজার মÐপগুলোতে শুরু হয়েছে প্রতিমা গড়ার কাজ, সেই সাথে চলছে মÐপের অবকাঠামো তৈরি।
পূজা আয়োজনে ব্যস্ত সময় পার করছেন গ্রামের পূজামÐপ কমিটি সদস্যরা। মৃৎশিল্পীরাও খড়, মাটি, কাঠ, বঁাশ নিয়ে প্রতিমা গড়তে ব্যস্ত। কঁাচা প্রতিমা গড়া হলে তা শুকানোর জন্য কিছুদিন সময় দিতে হবে। এরপর রঙ করে, কাপড় পরানো আর সাজসজ্জার কাজ শুরু হবে।
পোস্টার, ব্যানার, লিফলেটও ছাপানো হচ্ছে দশর্নাথীর্, পূজাথীর্ ও পুণ্যাথীের্দর উদ্দেশ্যে। শুভেচ্ছা জানিয়ে নিত্যনতুন ডিজাইনের নিমন্ত্রণপত্রও বাদ যাবে না এ থেকে।
জ্যৈষ্ঠপুরা মৈত্রী সংঘ ও দেবেন পাঠাগারের উদ্যোগে এ উপলক্ষে নানা কমর্সূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
কাযর্করী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সনজয় মহাজন জানান, ১৯৭৩ সাল থেকে দুগোর্ৎসব পালন করে আসছে জ্যৈষ্ঠপুরা মৈত্রী সংঘ ও দেবেন পাঠাগার। এবারের পূজায় প্রায় ৮ লাখ টাকার বাজেট রয়েছে। এর মধ্যে দেড় লাখ টাকা প্রতিমা ও মÐপ তৈরিতে ব্যয় হবে।
এছাড়া হোরারবাগ মাতৃমন্দির পল্লী মঙ্গল সমিতিতেও চলছে পূজার নানা আয়োজন।
পূজা কমিটির সভাপতি রবীন্দ্রলাল বৈদ্য বলেন, ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় পূজার আয়োজন চলছে। প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পযাের্য়। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার মৃৎশিল্পীদের চাহিদা বেশি। মÐপে প্রতিমা তৈরিতে এবার ব্যয় হচ্ছে ৪০ হাজার টাকা।
আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে সারাদেশের ন্যায় একযোগে ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে বোয়ালখালী উপজেলার ৮৩টি মÐপে শুরু হবে দুগার্পূজা। ১৮ অক্টোবর বিজয়া দশমী উদযাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ দুগোর্ৎসব।