আজকের যায়যায়দিন

নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন পুলিশের কমর্কতার্। তার পেছনে আরোহী ব্যক্তির মাথায় নেই হেলমেট। সঙ্গে বাইক চালানোর লাইসেন্সটিও নেই। তবু জোর খাটিয়ে চলে যেতে উদ্যত তিনি। বাধা দিতে গিয়ে আঘাত পান সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত গালর্স গাইডের দুই সদস্য।

মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসাসর্ ক্লাবের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নিরাপদ সড়কের দাবিতে দেশজুড়ে আন্দোলনের পর সরকার নড়েচড়ে বসে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে

স্কাউট ও গালর্স গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কাজ করছেন। এরই অংশ হিসেবে আঘাত পাওয়া আলফিসা সাফা গত রোববার থেকে অফিসাসর্ ক্লাবের মোড়ে কাজ করছেন।

আলফিসা বলেন, ‘আমি একটু দূরে সড়কের অন্য পাশ দেখছিলাম। অন্যদিকে আমার আরেক বন্ধু এক মোটরসাইকেল আরোহীকে আটকায়। তার পেছনের জনের মাথায় হেলমেট ছিল না। আমি সেখানে এগিয়ে যাই। লাইসেন্স দেখাতে বললে নিজেকে ডিবি পুলিশের সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন। এরপরও আমরা চাবি চাইলে না দিয়ে আমাদের দুজনের মাঝখান দিয়েই মোটরসাইকেল টান দেন। পেছন থেকে ওনার মোটরসাইকেল আমাদের আরেকজন ধরে ফেলে।’

তাপপ্রবাহে পুড়ছে ছয় জেলা / সারাদেশে গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন

আলফিসা জানান, তিনি ও তার বন্ধু দুজনই পায়ে আঘাত পান। ডিবির পরিচয় দেয়া ওই ব্যক্তি জানান, তার নাম মো. রেজাউল। আশপাশের লোকজন জড়ো হন এবং ট্রাফিকের অন্য সদস্যরা সেখানে চলে আসেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রমনা ট্রাফিক জোনের ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) তরিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘মেয়েরা সিগন্যাল দিলে ওই লোক না থেমে চলে যেতে চাইলে ওরা লাইসেন্স দেখতে চায়। কিন্তু তিনি তা না করে মোটরসাইকেল টান দেন। এতে ওরা আঘাত পায়।’ তিনি জানান, লাইসেন্স না থাকার কারণে ট্রাফিক আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া গায়ের ওপর তুলে দেয়ার অভিযোগে তিনি গালর্স গাইডের সদস্যদের অপরাধ আইনে মামলা করার জন্য বলেন। তবে রেজাউল নিজের ভুল স্বীকার করে মাফ চাইলে গালর্স গাইডের সদস্যরা মামলা করেননি।

ওই স্থানে থাকা গণমাধ্যমকমীর্রা ঘটনা সম্পকের্ রেজাউলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি পুলিশে আছি, আমার ভুল হয়ে গেছে।’