বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকার

বতর্মান সরকারের অধীনে নিবার্চনে রাজি ড. কামাল

বিবিসি বাংলায় তার বক্তব্য সঠিকভাবে প্রকাশিত হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে নীতিগত আপত্তি নেইÑ এমন বক্তব্য আমি দেইনি। আমি বলেছি, আমাদের দাবি পূরণ হলে ও নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক থাকলে আমরা নির্বাচনে যেতে রাজি আছি।
যাযাদি ডেস্ক
  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০
ড. কামাল হোসেন

নিবার্চনকে সামনে রেখে একটি বিরোধী রাজনৈতিক জোট গঠনের মূল উদ্যোক্তাদের একজন, ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বতর্মান সাংবিধানিক কাঠামো এবং ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নিবার্চনে যোগদান করতে তারা নীতিগতভাবে রাজি আছেন। তবে বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ড. কামাল হোসেন স্বীকার করেন যে, তাদের নবগঠিত জোটের শরিকদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি। এটি শুধুই তার দলের অবস্থান। তিনি বলেন, ‘এটা একটা সিম্পল প্রভিশন। আমি মনে করি, সবাই এটা বলতে দ্বিধা করবেন না। তবে এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত আমরা বসে নেইনি।’ নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলনকারী বিএনপি যখন এই ঐক্য প্রক্রিয়ায় যোগ দিয়েছে, তখন বতর্মান সাংবিধানিক কাঠামো এবং ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নিবার্চনে অংশ নিতে নীতিগতভাবে রাজি থাকার যে কথা বলছেন ড. কামাল হোসেন। সে ব্যাপারে তিনি বলেন, এটি শুধু তার দলের অবস্থান। ড. কামাল বলেন, ‘বলা হচ্ছেÑ তারা যেগুলো আইনে আছে, এগুলো মেনে চলবেন। যদি দেখা যায়, তারা এখান থেকে সরে যাচ্ছেন বা কোনো প্রভাব ফেলার চেষ্টা করছেন। তখন এটা দৃষ্টি এলে প্রথমে আপত্তি করা হবে যে, এটা থেকে আপনারা বিরত থাকেন। এরপরও অন্যপক্ষ যদি দেখেন যে, রীতিনীতি না মেনে এটা করা হচ্ছে। তখন তো নিবার্চন বাতিল করার জন্য কোটের্ যেতে হবে।’ ড. কামাল হোসেন উল্লেখ করেন, যারা সরকারে থাকবে, নিবার্চন নিরপেক্ষ করতে তাদের দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দলের নেতারা যারা আছেন, তারা যখন একটা স্বাক্ষর করবেন যে, আমরা কেউ এখানে হস্তক্ষেপ করব না, আমরা এই প্রক্রিয়াকে একটা নিরপেক্ষ প্রক্রিয়া হিসেবে হতে দেব, তখন আমরা ধরে নিতে পারি সরকারের পক্ষে বা আমাদের পক্ষে যারা ওথ (শপথ) নিয়ে কথাগুলো বলবেন, তাদের তো ন্যূনতম একটা দায়িত্ববোধ থাকবে।’ ড. কামাল বলেন, ‘নিবার্চন কমিশন এটা রেফারি হিসেবে পরিচালনা করবে। কেউ যদি নিরপেক্ষতা থেকে সরে যায় তারা সেটা চিহ্নিত করবে এবং এটাকে অবৈধ বলবে। এগুলো তো ইলেকশন আইনেই আছে।’ জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ব্যানারে শনিবার এই জোটের প্রথম যে সমাবেশ হয়, সেখান থেকে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নিবার্চনের লক্ষ্যে পঁাচ দফা দাবি তুলে ধরা হয় এবং আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেসব দাবিদাওয়া মেনে নেয়ার আহŸান জানানো হয়। এ ব্যাপারে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, তাদের এই জোট কোনো নিবার্চনী জোট নয়। একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নিবার্চনের দাবি আদায়ের লক্ষ্যেই শুধু তারা একজোট হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু নিবার্চন করার জোট। যে কারণে এটা দ্রæত করা সম্ভব হয়েছে।’ কিন্তু সরকারকে বিপদে ফেলে বিএনপিকে মাঠে নামার সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য এই জোট করা হয়েছে। এমন সমালোচনা আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। এই সমালোচনার ব্যাপারে দৃষ্টি আকষর্ণ করা হলে ড. হোসেন বলেন, ‘উনাদের আশ্বস্ত করতে পারেন যে, এ রকম কোনো চিন্তা আমাদের মাথায় ছিল না। সুষ্ঠু নিবার্চন করার লক্ষ্যে এই জোট। সরকারও এই জোটে আসতে পারে।’ সুষ্ঠু নিবার্চনের জন্য কী ধরনের পূবর্শতর্ তারা সরকারকে দিচ্ছেন? এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ভোটার লিস্ট নিরপেক্ষভাবে করতে হবে। ভোটার লিস্ট অনুযায়ী সবার ভোট দেয়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে