বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শাহবাগে কয়েকজনকে মারধর

যাযাদি রিপোটর্
  ০২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০
রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে রোববার সন্ধ্যায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী সন্দেহে কয়েকজনকে মারধর করে কোটাবিরোধীরা Ñযাযাদি

রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী সন্দেহে কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে। মারতে মারতে তাদের শাহবাগ থানায় নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। আহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

রোববার বিকেলে মারধরের এ ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীরা জড়ো হচ্ছেনÑ এমন খবর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে দুপুর থেকে শাহবাগে অবস্থান নেন ছাত্রলীগ নেতাকমীর্রা। এরপর বিকেলে আন্দোলনকারী সন্দেহে কয়েকজনকে ধরে মারধর শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজসহ রাজধানীর কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রলীগ নেতাকমীর্রা শাহবাগে অবস্থান নেন।

রোববার দুপুরে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহŸায়ক রাশেদ খানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করার পরই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা শাহবাগে জড়ো হওয়ার ঘোষণা দেন তাদের ফেসবুক গ্রæপে। এর পরপরই শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন ছাত্রলীগ নেতাকমীর্রা।

এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার পর আন্দোলনকারী সন্দেহে কয়েকজনকে শাহবাগ মোড়েই মারধর করে ছাত্রলীগ নেতাকমীর্রা। মারতে মারতে তাদের শাহবাগ থানার ভেতর নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাদের থানায় সোপদর্ করা হয়। তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘শাহবাগে সাধারণ জনগণ শিবির সন্দেহে কয়েকজনকে ধরে পুলিশে দিয়েছে বলে শুনেছি। এতে ছাত্রলীগ জড়িত নয়।’ আর সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহŸায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘শাহবাগে যাদের মারধর করা হয়েছে, তারা আন্দোলকারীদের কেউ নয়।’

শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার এস আই সুজন বলেন, ‘বেশ কয়েকজনকে থানায় আনা হয়েছে। কী কারণে তা আমি বলতে পারছি না। ওসি স্যার থানায় নেই।’

এর আগে দুপুরে প্রত্যক্ষদশীর্ কয়েকজন জানান, দুপুর থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে কয়েকজন শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা যায় যান চলাচল স্বাভাবিক। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের কাউকে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হতে দেখা যায়নি। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ এবং পাবলিক লাইব্রেরির সামনে আন্দোলনকারী কয়েকজনকে দঁাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তারা জানান, ছাত্রলীগ ও পুলিশ শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করছে। ছাত্রলীগ নেতাকমীের্দর লাঠিসেঁাটা নিয়ে শাহবাগের দিকে যেতে দেখা গেছে। তাদের কারণে আন্দোলনকারীরা জড়ো হতে পারছেন না।

দুপুর থেকে বিকেল পযর্ন্ত শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করে দেখা গেছে, পাবলিক লাইব্রেরির সামনে পুলিশের একটি জলকামান এবং একটি এপিসি গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। এছাড়া অধর্শত পুলিশও অবস্থান নিয়েছে।

শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়া ছাত্রলীগের কয়েকজন বলেন, ‘আমরা কোটা আন্দোলনের পক্ষে। প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কারে যে প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন তার ওপর আস্থা রেখে পড়ালেখায় মন দিয়েছি। তাই এ ইস্যুতে নতুন করে কাউকে আন্দোলন করতে দেয়া হবে না। এর প্রতিবাদে আমরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছি।’

তারা বলেন, বতর্মানে কোটা আন্দোলনকারীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। একদল বলছে আন্দোলন করবে না, অন্য দল আন্দোলনে নামার চেষ্টা করছে। তারা ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ শিক্ষাথীের্দর ক্ষিপ্ত করে তোলার চেষ্টা করছে। তারা তা হতে দেবেন না। তাদের রোধ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীর্রা রাজপথে নেমেছেন।

শাহবাগে অবস্থান ও মারধরের বিষয়ে তাৎক্ষণিক ছাত্রলীগ নেতাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে