শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আদালত ঘিরে নিñিদ্র নিরাপত্তা

যাযাদি রিপোটর্
  ১১ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ১১ অক্টোবর ২০১৮, ০০:২৮

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘিরে পুরো আদালত এবং এর আশপাশের এলাকায় নেয়া হয়েছিল নিñিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা। বুধবার সকাল থেকেই আদালতের তিন দিকের সড়ক সম্পূণর্ভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া চানখঁারপুল, নাজিমউদ্দীন সড়ক, বেগম বাজার লেন, বখশীবাজার এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক পুলিশ। এ সময় এসব এলাকায় চলাচলরত লোকজনের দেহ তল্লাশিও করতে দেখা যায়। সকাল ১১টা ৩৮ মিনিটে বিচারক রায় ঘোষণা শুরু করলেও পুলিশ সকাল ৭টা থেকেই আদালত ও এর আশপাশের এলাকা নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলে। সকাল ৮টায় রাজধানীর চানখঁারপুল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রতি মোড়ে ৫০ থেকে ৬০ জন করে পুলিশ সবোর্চ্চ সতকর্তার সঙ্গে অবস্থান নিয়ে আছে। এছাড়া রাস্তার মাঝে মাঝে কয়েক হাত দূরত্বে পুলিশের অবস্থান ছিল। বখশীবাজার, নাজিমুদ্দীন সড়কসহ আশপাশের অন্যান্য সড়কে গিয়েও একই রকম চিত্র চোখে পড়ে। প্রতি মোড়ে মোড়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি এ সময় সাদা পোশাকের নিরাপত্তারক্ষী সদস্যদেরও অবস্থান নিতে দেখা যায়। আদালতের বাইরের প্রধান তিনটি সড়কে আইনজীবী এবং সাংবাদিক ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। সকাল ৯টার নাজিমুদ্দীন সড়ক হয়ে আদালতের দিকে যেতে চাইলে এ প্রতিবেদককেও মূল আইডি কাডর্ দেখিয়ে খাতায় নাম ও ফোন নম্বর লিখতে হয়। এরপরও দুই তিনটি স্তরে শরীর তল্লাশি করে পরে আদালতের সামনের রাস্তায় প্রবেশের অনুমতি প্রদান করা হয়। আদালতের সামনের রাস্তায় গিয়ে দেখা যায় সেখানে একপাশে আইনজীবী এবং অন্যপাশে সাংবাদিকরা অবস্থান করছেন। তাদের চারপাশ থেকে পুলিশ দঁাড়ানো। কয়েকজন সাংবাদিক ও আইনজীবী এ সময় জানান, পুলিশ তাদেরকে জানিয়েছে অনুমতি পেলে একে একে সকলকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে। তার আগ পযর্ন্ত তাদেরকে নিদির্ষ্ট স্থানে অপেক্ষা করতে হবে। সকাল ১০টায় মামলার রায় প্রদানকারী বিচারক শাহেদ নুরউদ্দিন আসার কিছুক্ষণ আগে নিরাপত্তাব্যবস্থা স্বচক্ষে দেখতে আসেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তার কাছে প্রতিবেদক নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি যায়যায়দিনকে বলেন, ‘এ রায় ঘিরে কোনো ধরনের নাশকতার চেষ্টা হলে তা প্রতিহত করতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুরোদমে প্রস্তুত রয়েছে। আমি নিজে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখভাল করছি। কেউ কোনো ধরনের নাশকতার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ এ রায় ঘিরে পুলিশের কাছে কোনো ধরনের নাশকতা চেষ্টার তথ্য আছে কিনা এমন প্রশ্নে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘এখনো পযর্ন্ত সুনিদির্ষ্ট কোনো তথ্য নেই। তবে পুলিশ সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে। প্রয়োজন হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা দেখতে পাবেন।’ নিরাপত্তা কড়াকড়ির কারণে এ সময় নাজিমুদ্দীন সড়ক ও বেগম বাজার লেনের লোকজন কাযর্ত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সাংবাদিকদের কাছে অনেকেই এ সময় তাদের অবস্থা তুলে ধরেন। তবে উপস্থিত এক পুলিশ কমর্কতার্ এ বিষয়ে প্রতিবেদককে বলেন, ‘এটা উপরের নিদের্শ। আমরা শুধু বাস্তবায়ন করছি। এছাড়া এমন স্পশর্কাতর বিষয় হওয়ায় তাদেরকেও বিষয়টা বুঝতে হবে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে