সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর দল বিকল্পধারা বাংলাদেশে ‘ভেঙে গেছে’। দলটির কয়েকজন নেতা নিজেদের মূল বিকল্পধারা দাবি করে মূলত বিকল্পধারাকে ‘ব্র্যাকেটবন্দি’ করে ফেলেছেন।
নিজেদের মূল অংশ দাবি করা বিকল্পধারার নতুন অংশটির সভাপতি করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক নুরুল আলম ব্যাপারী এবং মহাসচিব হয়েছেন শাহ আহম্মেদ বাদল। এই অংশটি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে থাকছে। ফলে বিকল্পধারার দুটি অংশের একটি অথার্ৎ বি. চৌধুরীর বিকল্পধারা যুক্তফ্রন্টে আর নুরুল আলমের বিকল্পধারা ঐক্যফ্রন্টে থাকবে।
বিকল্পধারার এ অংশটি দলের বতর্মান সভাপতি বি. চৌধুরী, মহাসচিব আবদুল মান্নান ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরীকে পদ থেকে বহিষ্কারও করেছেন।
মূলত ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ না দেয়ার কারণে এই দুই নেতা দল থেকে বেরিয়ে গেছেন। এর আগে গত শনিবার শাহ আহম্মেদ বাদল ও জানে আলমকে বিকল্পধারা থেকে বহিষ্কার করেন বি. চৌধুরী। ঐক্যফ্রন্টে যোগ না দেয়ার কারণে তখন এই দুই নেতা দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। শাহ আহম্মেদ বিকল্পধারার সভাপতি ও জানে আলম কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
নতুন অংশের সভাপতি নুরুল আলম ব্যাপারী শুরু থেকেই বিকল্পধারার সভাপতিমÐলীর সদস্য ছিলেন।
এর আগে ২০০৪ সালে বিকল্পধারা গঠনের এর কামাল আহমেদ নামে এক নেতা দলে ভাঙন ধরান। তবে সেই ভাঙন স্থায়ী হয়নি। বা দলের ওপর কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে এবারের ভাঙনের কারণে বিকল্পধারা দুটি অংশে বিভক্ত হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কেননা বি. চৌধুরীর বিকল্পধারা যুক্তফ্রন্টে থাকছে আর নতুন অংশটি বিকল্পধারা নামে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যুক্ত হচ্ছে।
নতুন অংশের সভাপতি নুরুল আলম ব্যাপারী বলেন, তারা আপাতত অস্থায়ী কমিটি গঠন করেছেন। শিগগিরই পূণার্ঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। তিনি বলেন, এই অন্তবর্র্তীর্ সময়ে অস্থায়ী কমিটি ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ তথা যে কোনো কমর্সূচিতে বিকল্পধারার একমাত্র বৈধ নেতৃত্ব বলে বিবেচিত হবে।
আর মহাসচিব শাহ আহম্মেদ বাদল বলেন, তারাই বিকল্পধারার মূল রাজনীতির প্রধান স্রোত। তিনি বলেন, তাদের দলের যে অংশটি জাতীয় ঐক্যকে অস্বীকার করেছে তারা দলের ও জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলছে বিকল্পধারা বাংলাদেশ তারই একটি অংশ। তিনি দাবি করেন, তারাই মূল স্রোত। এর বাইরে যারা তারা জন আকাক্সক্ষার বিরোধী শক্তি।
বিকল্পধারার সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী বলেছেন, বিকল্পধারা অটুটই আছে। কেউ কেউ হয়তো বিকল্পধারার আদশর্ থেকে বিচ্যুত হয়ে বেরিয়ে গেছেন।