শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তফসিল ঘোষণা: কোন পথে এগোবে ঐক্যফ্রন্ট

যাযাদি ডেস্ক
  ০৯ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

সংলাপের মাধ্যমে সংকটের সমাধান না হওয়া পযর্ন্ত নিবার্চনী তফসিল ঘোষণা না করার অনুরোধ জানিয়েছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। কিন্তু সেই অনুরোধ অগ্রাহ্য করেই বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।

কিন্তু এই নিবার্চনে অংশগ্রহণের প্রশ্নে সরকারের সঙ্গে প্রধান বিরোধী জোট- জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যে আলোচনা চলছিল তাতে বুধবার দ্বিতীয় দফা সংলাপেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।

তবে কি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বন্ধ হচ্ছে?

এ বিষয়ে বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম খান জানান, যে আলোচনার পথ কোনো অবস্থাতেই বন্ধ হওয়া উচিত নয়। উচিত হলো যে, শেষ পযর্ন্ত চেষ্টা করে যাওয়া।

তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূণর্ আন্দোলন করে যাচ্ছি শুধু সেই লক্ষ্যেই যে সবকিছু একটা আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে হোক।’

তবে সরকার এ নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দুই দফা আলোচনায় বসেছে। সেখানে, সরকার কোন জায়গাগুলোয় ছাড় দিতে পারে এবং ঐক্যফ্রন্ট তাদের দাবিগুলোর কতটুকু পযর্ন্ত ছাড় দিতে পারেন- সে বিষয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু সরকারের বক্তব্য এক্ষেত্রে স্পষ্ট নয় বলে অভিযোগ করেছেন নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের বক্তব্যের যুক্তি বুঝি না। তারা জনসমক্ষে বলেন যে, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘষির্ক কিছু বা সংবিধানের বাইরে কিছু তারা করতে রাজি না, কিন্তু সংসদ ভেঙে দেয়া বা বাতিল করাটা সংবিধান অনুযায়ী হতে পারে। এজন্য সংবিধান সংশোধন করা লাগে না।’

এছাড়া ইভিএম বন্ধ করার ক্ষেত্রেও সাংবিধানিক কোনো বাধা নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।

নিবার্চনকে শান্তিপূণর্ করার লক্ষ্যে নিবার্চনী এলাকাগুলোতে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা, সেটা তাদের বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে হোক বা না দিয়ে হোক। সে ব্যাপারেও সংবিধানে কোনো বিধিনিষেধ নেই।

এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

তার অভিযোগ, ‘বেগম জিয়াকে আদালত জামিন দিলেও সরকারের প্রভাবাধীন নিম্ন আদালত সেটা আটকে দিয়েছে।’

‘বেগম জিয়াকে এমন মামলায় জামিন অগ্রাহ্য করা হয়েছে, যে মামলার বাকি সব আসামি জামিনে আছে। কাজেই তিনি সরকারের কারণেই কারাগারে আছেন,’ তিনি বলেন।

নিবার্চন বজের্নর পথ?

ঐক্যফ্রন্টের এই দাবিগুলো যদি সরকার মেনে নেয় তাহলে বিএনপি কি নিবার্চনে অংশ নেবে?

এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘না, আমরা বলতে চাই যে আমাদের যে নিদর্লীয় সরকারের দাবি, সেটাও আছে আমাদের।’

‘কিন্তু এই দাবিগুলো মেনে নিয়ে যদি সরকার বলত যে আপনাদের নিদর্লীয় সরকারের দাবিটা সংবিধানের সঙ্গে যায় না। আমরা সেজন্য সেটা মানতে পারব না। তাহলে আমরা বিবেচনা করে দেখতাম, আমরা কি করতে পারি, এবং সেখানে কিন্তু একটা সমঝোতার পরিবেশ অন্তত সৃষ্টি হতো।’

নজরুল ইসলাম খানের ভাষ্যমতে, সরকার তার অবস্থানে অনড় ভূমিকায় রয়েছে এবং বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে চাইছে না।

তাহলে এবারে জাতীয় সংসদ নিবার্চনে কি সেই ২০১৪ সালের নিবার্চন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হবে? বিএনপি কি তাহলে নিবার্চন বজের্নর পথটাকেই বেছে নেবেন?

বিবিসির এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘না, আমরা এখনও ঠিক ওইরকম কিছু ভাবি না। আমরা মনে করি এখনও সময় আছে, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। সরকার গণতন্ত্রের স্বাথের্ যুক্তিসঙ্গত আচরণ করবে। আমাদের ন্যায়সঙ্গত যে প্রস্তাবগুলো, সেগুলো তারা মেনে নেবে।’

নিবার্চন প্রশ্নে বিএনপির

মধ্যে ভিন্নমত?

নিবার্চন প্রশ্নে বিএনপির মধ্যে ভিন্নমত থাকতে পারে বলে যে প্রশ্ন উঠেছে সেটাকে উড়িয়ে দিয়েছেন নজরুল ইসলাম খান।

বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘দেখুন বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের পর অনেক গুজব ছিল যে বিএনপি ভেঙে যাবে। বিএনপি বিশৃঙ্খল হয়ে যাবে। কিন্তু সবাই দেখেছে যে গত নয় মাস ধরে আমাদের দল অত্যন্ত ঐক্যবদ্ধ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ অবস্থায় আছে।’

এখনও দলের প্রতিটি সিদ্ধান্ত সকল পযাের্য়র মতামতের ভিত্তিতে নেয়া হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সম্পাদকদের সঙ্গে সভা করেছি, যুগ্ম মহাসচিবদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের দলের ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপদেষ্টাদের সঙ্গে সভা করেছি।’

আমরা সবার মতামতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেই। আমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্তে আমরা সবাই একমত থাকি। এখানে দ্বিমতের কোনো অবকাশ নেই। বিবিসি বাংলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<21626 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1