ভোট গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর করার পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ঐক্যফ্রন্ট তাদের এক মাস পেছানোর দাবিতেই অনড় থাকবে। এ ব্যাপারে তারা পরবতীর্ কমর্সূচি দেবে।
সোমবার দুপুরে প্রধান নিবার্চন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও জোট জাতীয় নিবার্চনের ভোটের তারিখ পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছে। এ জন্য ভোট গ্রহণের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর থেকে পিছিয়ে আগামী ৩০ ডিসেম্বর করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ২৮ নভেম্বর। তফসিলের অন্যান্য তারিখ পরে জানানো হবে।
ঐক্যফ্রন্টের শীষর্ নেতা ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে জোটের কয়েকজন নেতা সোমবার সকালে বৈঠক করেন। তাদের নিবার্চন কমিশনেও যাওয়ার কথা ছিল। তবে জানা যায়, ইসি থেকে সময় না পাওয়ায় তারা যাননি।
ওই বৈঠক শেষে আ স ম আবদুর রব সাংবাদিকদের বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের একদিন পরেই ইংরেজি নববষর্। ওই সময় দেশে কোনো কূটনীতিক ও বিদেশি পযের্বক্ষক থাকবেন না। সরকার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নিবার্চন বানচাল করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই ঐক্যফ্রন্ট তফসিল আলোচনা শেষ না হওয়া পযর্ন্ত ঘোষণা না করার দাবি জানিয়েছিল। ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা হয়ে গেলে রোববার ঐক্যফ্রন্ট নিবার্চনে অংশ নেৎয়ার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি তফসিল আরও এক মাস পিছিয়ে নেয়ার দাবিও জানায়।
আ স ম আবদুর রব জানান, ঐক্যফ্রন্ট তাদের দাবিতে অনড় থাকবে। দাবি মানা না হলে নিজেরা বৈঠক করে পরবতীর্ কমর্সূচি ঘোষণা করবেন। তিনি আরও বলেন, সরকার চাইলে আলোচনা করে পুনঃতফসিল দেয়া সম্ভব।