বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শরিকদের সবোর্চ্চ ৬০ আসন দিতে চায় বিএনপি

যাযাদি রিপোটর্
  ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ০০:২৫

একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে বিএনপি তাদের দুই রাজনৈতিক মিত্র জোট ২০ দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সবোর্চ্চ ৬০টি আসন ছাড়তে পারে। এর মধ্যে ২০ দলকে ৪০টি এবং ঐক্যফ্রন্টতে ২০টি আসনে ছাড় দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০ দলে জামায়াত ছাড়া অনিবন্ধিত কোনো দলের কোনো আসন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

বিএনপির সিনিয়র এক নেতা বলেন, বিএনপির দুই জোটের নেতারাই আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। দলগুলো তালিকাও পাঠিয়েছে বিএনপির কাছে।

সূত্রমতে, ২০ দলীয় জোটকে ৪০টি আসনে ছাড় দেয়া হতে পারে। এর মধ্যে জামায়াত ২৫, এলডিপি ৫, জাপা (জাফর), বিজেপি, কল্যাণ পাটির্, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, জাগপাকে ১টি করে আসন ছাড় দেয়া হতে পারে। তবে দুই-একটা দলকে প্রয়োজনে আরও একটি আসন বাড়িয়ে দেয়া হতে পারে। অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের জন্য ২০ আসন ছাড় দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে বিএনপি।

একমাত্র জামায়াত ছাড়া জোট ও ফ্রন্টের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না বলে বিএনপি নেতারা মনে করছেন।

জামায়াতে ইসলামীর নেতারা জানান, বিএনপির কাছে তারা ৬২টি আসন চাইবে। দর কষাকষি করে সবোর্চ্চ ৪৫ আসনে জামায়াত প্রাথীর্ দিতে চায়। যদি সমঝোতা না হয় তাহলেও তারা ওইসব আসনে তাদের প্রাথীর্ রাখবেন। এ অবস্থায় জামায়াত ধানের শীষ, না স্বতন্ত্র প্রতীক নিয়ে নিবার্চন করবে তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তারা মনে করছেন, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নিবার্চন করলে নিবার্চনে বিজয়ী হওয়া সহজ হবে। এ ক্ষেত্রে বিএনপির দেয়া আসনের মধ্যে তাদের সীমাবদ্ধ থাকতে হবে।

জামায়াত ৬২ আসন দাবি করলেও শেষ পযর্ন্ত ২৫টি আসন ছাড় পেতে পারে। তবে বিএনপি যে ২৫টি আসন জামায়াতকে দিতে চায় এগুলো হচ্ছেÑ রফিকুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জ-৪, আলী আলম সিরাজগঞ্জ-৫, মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ড. নাজেব মোমেন পাবনা-১, এমএ হাকিম ঠাকুরগঁাও-২, মোহাম্মদ হানিফ দিনাজপুর-১, আনোয়ারুল ইসলাম দিনাজপুর-৬, মনিরুজ্জামান মন্টু নীলফামারী-২, আজিজুল ইসলাম নীলফামারী-৩, হাবিবুর রহমান লালমনিরহাট-১, শাহ হাফিজুর রহমান রংপুর-৫, নূর আলম মুকুল কুড়িগ্রাম-৪, নজরুল ইসলাম লেবু গাইবান্ধা-৩, আবদুর রহিম সরকার গাইবান্ধা-৪, নুরুল ইসলাম বুলবুল চঁাপাইনবাবগঞ্জ-২, শহীদুল ইসলাম বাগেরহাট-৪, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দুই ছেলে শামীম সাঈদী পিরোজপুর-১, শফিকুল ইসলাম মাসুদ পটুয়াখালী-২, মিয়া গোলাম পরওয়ার খুলনা-৫।

যে ৫টি আসনে ছাড় পেতে পারে এলডিপি

কনের্ল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম চট্টগ্রাম-১৪, ড. রেদোয়ান আহমেদ কুমিল্লা-৭, শাহাদাত হোসেন সেলিম ল²ীপুর-১, এমএ করিম আব্বাসী নেত্রকোনা-১ ও অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ চঁাদপুর-৩।

এছাড়া জাপার (জাফর) : ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী গাইবান্ধা-৩, মোস্তফা জামাল হায়দার পিরোজপুর-১, বিজেপির আন্দালিব রহমান পাথর্ ভোলা-১, খেলাফত মজলিস মহাসচিব অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদের হবিগঞ্জ-৪ এবং কল্যাণ পাটির্ মেজর জেনারেল (অব.) ইব্রাহিম এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি ওয়াক্কাস ও জাগপার তাসমিয়া প্রদানকে ১টি আসনে ছাড় দেয়া হতে পারে।

খেঁাজ নিয়ে জানা গেছে, আসন বণ্টন আলোচনা নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে বিএনপির এখন পযর্ন্ত তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। তাই শেষ পযর্ন্ত ২০টি আসনে ছাড় দিয়ে ঐক্যফ্রন্টকে সন্তুষ্ট করা যাবে বলে দলের নেতারা মনে করছেন। মঙ্গলবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকেও আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দেড় ঘণ্টার বৈঠকে নিবার্চনের তফসিল, নিবার্চনী পরিবেশসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। এ আলোচনার এক পযাের্য় আসন বণ্টনের বিষয়টি উঠে আসে। সেখানে প্রত্যেক দলকে তাদের প্রাথীর্ তালিকা করতে বলা হয়েছে। সেই তালিকা ধরে আলোচনায় বসা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এই আসন বণ্টন প্রশ্নে একটি কমিটিও গঠন করবে বিএনপি। জানা গেছে, প্রতিটি নিবার্চনে আসন বণ্টন কমিটির শীষর্ পদে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এবারও তাকে দায়িত্ব দেয়া হতে পারে।

বিএনপির সূত্রমতে, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন নিবার্চনে লড়বেন না। সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু ঢাকা-২ ও ৩ আসনে নিবার্চন করতে চান। কিন্তু বিএনপি তাকে ঢাকা-৭ আসন ছাড় দিতে চায়। এছাড়া চট্টগ্রাম ১৩ বা ১৪ আসনে লড়তে চান গণফোরামের নিবার্হী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, মৌলভীবাজার-২ আসনে ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, ল²ীপুর ৪ জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন কুমিল্লা-৪, টাঙ্গাইল-৮ আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২, নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরাম নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নিবার্চন করতে আগ্রহী। তাই দলগুলোকে সম্ভাব্য প্রাথীের্দর চ‚ড়ান্ত তালিকা তৈরি করে জমা দিতে বলা হয়েছে। তালিকা হওয়ার পর ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে চ‚ড়ান্ত করা হবে প্রাথীর্র তালিকা।

আসন বণ্টনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিরোধী সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সবার লক্ষ্য যেখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সেখানে আসন কোনো বড় সমস্যা নয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<22456 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1