দÐিত, ঋণখেলাপি, বাধর্ক্য এবং নিবার্চনী কাজের জন্য বিএনপির অধর্শত তারকা নেতাকে এবার ভোটের মাঠে দেখা যাবে না। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব, নিবার্হী কমিটির গুরুত্বপূণর্ নেতা ছাড়াও সাবেক অনেক মন্ত্রী-এমপি আসন্ন নিবার্চনে অংশ নিতে পারছেন না। একাদশ জাতীয় সংসদ নিবাচের্ন অংশ নেয়ার জন্য তিন আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কিন্তু দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজার কারণে তিনটি আসনে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। আর বিএনপির বতমার্ন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। তিনি এখন যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। ভোটের আগে তার দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই। সঙ্গত কারণেই নিবার্চনে থাকছেন না দলের দ্বিতীয় সবোর্চ্চ এই নেতা। বিএনপির সবোর্চ্চ নীতিনিধার্রণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্তত ৫ সদস্য এবার ভোট করছেন না। বয়সের কারণে নিবার্চনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান। সাজার কারণে নিবার্চনে অংশ নিতে পারছেন না ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, নিবার্চন পরিচালনার কাজের জন্য ভোট করছেন না নজরুল ইসলাম খান। আর ভারতে আটক সালাউদ্দিন আহমেদ আইনি জটিলতা কাটিয়ে উঠতে না পারায় তারও নিবার্চনে থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের আলোচিত নেতাদের মধ্যে আমান উল্লাহ আমান ও মশিউর রহমান এবং মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম এবার ভোটের মাঠে থাকতে পারছেন না। জ্ঞাত আয়বহিভর্‚ত সম্পদ অজর্ন, সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় সাজার কারণে আমান উল্লাহ আমান এবং মশিউর রহমানের নিবার্চনে অংশ নিতে পারবেন না। আর মনোনয়নপত্র দাখিলই করেননি সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম। মামলায় সাজা এবং দলের মনোনয়ন না পাওয়ার কারণে ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে প্রায় এক ডজন তারকা নেতা এবার ভোট করবেন না। এরা হচ্ছেনÑ এম মোশের্দ খান, সাদেক হোসেন খোকা, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, আব্দুল মান্নান, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, আব্দুস সালাম পিন্টু, ড. ওসমান ফারুক, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, এড. আহমদ আজম খান ও গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। গত রোববার মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের সময় এদের অনেকের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। এর মধ্যে সাজা নিয়ে বিদেশে অবস্থান করা সাদেক হোসেন খোকা নিবার্চন করতে না পারলেও তার ছেলে ইশরাক হোসেনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। তবে কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের ভাই কে এম মুজিবুল হক নিবার্চনে অংশ নেয়ার চেষ্টা করলেও তারও মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। আব্দুল আউয়াল মিন্টু দুটি আসনে দলের মনোনয়নের চিঠি পেলেও তিনি তা দাখিল করেননি। এদিকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবসহ ৪ যুগ্ম মহাসচিবকে এবার ভোটের মাঠে দেখা যাবে না। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নিবার্চন করতে পারছেন না বলে নিবার্চনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রয়েছেন। মনোনয়নপত্র তুলেও নিবার্চন করছেন না যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও হাবিব-উন নবী খান সোহেল। মূলত পছন্দের আসন না পাওয়ায় এই দুই নেতা নিবার্চন থেকে সরে গেছেন। আর ঋণখেলাপির কারণে নিবার্চনে অংশ নিতে পারবেন না আসলাম চৌধুরী। এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে মামলার কারণে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু নিবার্চন করতে পারবেন না। আর মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু ও আ ক ন কুদ্দুসুর রহমান নিবার্চনের অংশ নিচ্ছেন না। সাবেক এমপি আব্দুল ওহাব, ওয়াদুদ ভুইয়াসহ অনেক আলোচিত বিএনপি নেতা এবার নিবার্চনের বাইরে থাকছেন। এসব নেতা বিএনপির রাজনীতিতে সবাই গুরুত্বপূণর্ ভ‚মিকা রেখেছেন। দলের সংকটে সামনে থেকে নেতাকমীের্দর আগলে রেখেছেন। এদের বেশিরভাগেরই নিবার্চন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারা নিবার্চনে সরাসরি না থাকার কারণে ভোটে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকসহ দেশের সাধারণ মানুষও।