চলে গেল বাংলার বাঙ্গালিদের পৌষ মাস। পৌষ মাসের শেষে মাঘের শুরুতেই কালীগঞ্জবাসী উৎসবের আমেজে রঙ্গিন হয়ে উঠে। দোকানিরা মেলার মাঠে পসরা সাজিয়ে বসে। প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার শীতলক্ষ্যা তীরে বকুল তলার গ্রামীণ মেলা। শুরুতে এই মেলাটি সনাতন ধমার্বলম্বীদের জন্য হলেও বতর্মানে তা সাবর্জনীন উৎসবে পরিনত হয়েছে।
সকালের কুয়াশা কাটতেই মেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠে নানার বয়সী মানুষের পদচারণায়। শিশুরা নানা ধরনের খেলনা কিনছে, পাশাপাশি বড়রা দৈনন্দিন ব্যবহাযর্ কাঠ-বঁাশ-বেতের তৈরি আসবাবপত্র ও মাছ ধরার সরঞ্জাম সংগ্রহ করছেন।
কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ভাদাত্তীর্ গ্রামের গৃহবধূ শিফা খন্দকার এই প্রতিবেদককে জানান, প্রতি বছরে এই মেলা থেকে প্রয়োজনীয় নানা জিনিস ক্রয় করেন। তাই এবারও এসেছেন। দাম একটু বেশি হলেও অনেক জিনিস একসাথে একই জায়গায় পাওয়া যায় এটাই মেলার বৈশিষ্ট।
কালীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মো. রফিজ উদ্দিন জানান, তার জ্ঞান হওয়ার পর থেকে কালীগঞ্জের বকুল তলার গ্রামীণ মেলা দেখে আসছেন। কিন্তু তারও আগে দাদা এবং বাবার কাছে এই মেলার কথা শুনেছেন। শুরুতে এই মেলাটি সনাতন ধমার্বলম্বীদের জন্য হলেও বতর্মানে তা সকল ধমের্র মানুষের আনন্দের-উৎসব। প্রথমে এক দিনব্যাপী হলেও পরে তিন ও সাত দিনব্যাপী ও সভ্যতার ক্রমবিকাশে এ মেলা এখন পনের দিনব্যাপী হয়ে থাকে।
মেলার আয়োজক আলী আল মারুফ অনিক জানান, মেলায় স্বল্প খরচে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ব্যবসায়ীদের স্টলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচাজর্ (ওসি) মো. আবুবকর মিয়া জানান, মেলায় যাতে কোন প্রকার জুয়া বা অসামাজিক কাযর্ক্রম এবং আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না হয় সে ব্যাপারে মেলা প্রাঙ্গণে সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।