আজকের যায়যায়দিন

একটি বেসরকারি টেলিভিশনের নারী নিরাপত্তাকমীর্ অন্য দিনের মতোই বুধবার সকালে অফিসে যেতে মহাখালীর আমতলিতে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় আলমগীর নামের এক ব্যক্তি ওই নারীর দিকে এগিয়ে গিয়ে টানাটানি করতে থাকেন। তখন ওই নারী এর প্রতিবাদ জানান। একপযাের্য় লাঠি দিয়ে ওই নারীকে আঘাত করেন ওই ব্যক্তি। এ সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন এক পুলিশ কমর্কতার্। তিনি এগিয়ে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করেন। আটক করা হয় আলমগীরকে। এভাবে ঘটনার বণর্না করেন ক্যান্টনমেন্ট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) তাপস কুমার দাস। তার চেষ্টাতেই ওই নারী বড় কোনো দুঘর্টনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তাপস বলেন, রাতের ডিউটি শেষে তিনি ঘটনাস্থলের দিক দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই নারীর চিৎকার তার কানে যায়। চিৎকার শুনে এগিয়ে যান তিনি। তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ও গাড়িচালক মিলে ধরে ফেলেন আলমগীর ও তার ভাইকে। তাপস কুমার দাস বলেন, উদ্ধারের পর নারীকে তিনি চিকিৎসার জন্য কুমিের্টালা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। তার মুখে ছয়টি সেলাই লেগেছে। আটক দুইজনকে বনানী থানায় সোপদর্ করা হয়েছে। পরে নারী-শিশু নিযার্তন আইন এবং আহত হওয়ার ঘটনায় দুই ধারায় মামলা করেন নিযাির্তত নারী। এ ঘটনায় ওই টেলিভিশনের এক সাংবাদিক ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ কী ভাষায় দেব, জানি না। শুধু বলতে পারি, ভালো মানুষের আলোর মিছিলে পৃথিবী বদলাতে শুরু করেছে। একটু করে হয়ত। তবুও শুরু করেছে।’