শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
দুদকের সভায় সিদ্ধান্ত

অনুসন্ধান পযাের্য়ই দুনীির্তর সম্পদ জব্দ করা হবে

কোনোভাবেই দুনীির্তবাজ কিংবা তাদের অন্য কোনো দোসর, পরিবারের সদস্য বা পরবতীর্ প্রজন্ম; কাউকে এই অবৈধ সম্পদ ভোগ করতে দেবে না দুদক
যাযাদি রিপোটর্
  ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

দুনীির্তর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলাকালেই দুনীির্তবাজদের সব অবৈধ সম্পদ জব্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুনীির্ত দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার সংস্থাটির প্রধান কাযার্লয়ে কমিশনের বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। পরে দুদক মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, এখন থেকেই দুনীির্তর অনুসন্ধান বা তদন্তকালে অবৈধভাবে অজির্ত সম্পত্তি দুদকের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

তিনি বলেন, কোনোভাবেই দুনীির্তবাজ কিংবা তাদের অন্য কোনো দোসর, পরিবারের সদস্য বা পরবতীর্ প্রজন্ম; কাউকে এই অবৈধ সম্পদ ভোগ করতে দেয়া হবে না।

জব্দ করা ওই সম্পত্তির ব্যবস্থার দায়িত্ব দুদক পালন করবে উল্লেখ করে মুনীর চৌধুরী বলেন, শুধু তাই না, ২০০৪ সাল থেকে এখন পযর্ন্ত দুদকের মামলায় যত সম্পদ ফ্রিজ বা ক্রোক হয়েছে, তাও দুদকের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

এ সময় উপস্থিত অপর মহাপরিচালক (আইন) মঈদুল ইসলাম বলেন, দুদক যখনই চাইবে অনুসন্ধান বা তদন্ত পযাের্য় সম্পদ জব্দ করতে পারবে।

চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সভাপতিত্বে নবগঠিত ‘অপরাধলব্ধ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ইউনিট’র কাযর্ক্রম নিয়ে ওই জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ২০০৪ সাল থেকে এ পযর্ন্ত অবৈধ সম্পদ সংক্রান্ত চলমান এবং কমিশনের পক্ষে রায় হয়েছে এমন সব মামলায় সম্পৃক্ত সব প্রকার অবৈধ সম্পদ জব্দ/ ক্রোক/অবরুদ্ধ করে মামলার তালিকা অনুযায়ী রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করে কমিশনে উপস্থাপন করতে হবে এবং এ সব কাযর্ক্রমে যারা যুক্ত থাকবেন তাদের ফরোয়াডর্ ডায়েরি অনুসরণ করতে হবে।

ইতোমধ্যেই যে সব মামলায় আসামিদের শাস্তির পাশাপাশি আথির্ক জরিমানা করা হয়েছে অথবা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাও রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করার নিদের্শ দেন কমিশনের চেয়ারম্যান।

এখন থেকে প্রতিটি অবৈধ সম্পদ অজের্নর মামলায় সম্পদ জব্দ/ক্রোক করতে হবে। অবৈধ সম্পদ ভোগ করার সুযোগ কাউকেই দেয়া হবে না। অবৈধ সম্পদ রাষ্ট্রের অনুক‚লে আনার জন্য দুদক ব্যবস্থা নেবে বলে জানান ইকবাল মাহমুদ।

এ সব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় যাতে কোনো প্রকার দুনীির্ত, সম্পদের ক্ষতিসাধন কিংবা অব্যস্থাপনার সুযোগ না থাকে এমন একটি নীতিমালা প্রণয়নের জন্য কেবিনেট ডিভিশন, অথর্ মন্ত্রণালয়, আইন-বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে একটি যৌথসভায় আউট সোসির্ংয়ের মাধ্যমে সম্পদ ব্যবস্থাপনা করা যায় কিনা তা পরীক্ষা করার নিদের্শ দেন দুদক চেয়ারম্যান।

এ সব সম্পদের যারা জিম্মাদার হবেন, তাদের জবাবদিহিতার বিষয়টিও বিশেষভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুনীির্তর একটি পথ বন্ধ করে আরেকটি পথ কখনোই খুলতে দে

ওয়া যাবে না।

সভায় দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদকের যে সব মামলায় আসামিরা মারা গেছেন কিন্তু অবৈধ সম্পত্তি রয়ে গেছে, এ সব অবৈধ সম্পদ ক্রোক/জব্দ/বাজেয়াপ্ত করার জন্য আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।

সম্প্রতি একটি আলোচিত অবৈধ সম্পদ অজর্নকারী সরকারি কমর্কতার্র প্রসঙ্গ টেনে দুদক চেয়ারম্যান জানান, তার জব্দকৃত ব্যাংক হিসাবের বাইরেও ব্যাংক হিসাব থাকতে পারে। তাই তার সব ব্যাংক হিসাবের লেন-দেন স্থগিত রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইউনিটকে চিঠি দেয়ার নিদের্শনা দেন।

সভায় একজন কমর্কতার্ কমিশনের বিভিন্ন অভিযান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দুই-একটি নেতিবাচক মন্তব্য দুদক চেয়ারম্যানের দৃষ্টিগোচর করলে তিনি বলেন, কমিশনের প্রতিটি অভিযান আইনানুগ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা হচ্ছে।

কমিশন আইনের তফসিলভুক্ত অপরাধ দÐবিধি ১৬৬ ধারা উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, কোনো ব্যক্তির ক্ষতি সাধনকল্পে সরকারি কমর্চারী কতৃর্ক আইন আমান্যকরণ দÐনীয় অপরাধ, যা কমিশনের তফসিলভুক্ত অপরাধও। তাই আইন অমান্য করে জনগণের কোনো ক্ষতিসাধন কিংবা ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করা হলে আরও কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ সময় কমিশনের অপরাধলব্ধ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ইউনিটের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির, গোয়েন্দা ইউনিটের পরিচালক, আইন অনুবিভাগের পরিচালক ও বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের পরিচালকসহ অন্য ঊধ্বর্তন কমর্কতার্রা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<33810 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1