যশোরে পূবর্ বিরোধের জের ধরে মামুন হোসেন নামে এক যুবককে কুপিয়ে ও বোমা মেরে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যারাত ৭টার দিকে শহরতলির শেখহাটি জামরুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আরিফ হোসেন নামে এক ছাত্রলীগ কমীর্ আহত হয়েছেন।
নিহত মামুন শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের রবিউল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত আব্দুর রউফের ছেলে। তিনি একটি মোবাইল ফোনের দোকানদার। আর আহত আরিফ হোসেন ঘোপ বাবলাতলা এলাকার বজলু খলিফার ছেলে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি অপূবর্ হাসান নিহতের স্বজনদের কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন, মামুন সন্ধ্যায় শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার রাসেলের চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এ সময় তার ওপর হামলা করা হয়। তাকে কুপিয়ে ও বোমা হামলা করে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পারেনি পুলিশ। তবে মেয়ে-সংশ্লিষ্ট একটি ঘটনায় স্থানীয় একটি গ্রæপের সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল। সেই ঘটনার জের কিনা অন্য কোন ঘটনার সূত্র ধরে হত্যাকাÐ হয়েছে সেটা জানতে তদন্ত না করে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল
হাসপাতালের চিকিৎসক বজলুর রশিদ টুলু জানান, মামুনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপানের ও বোমা হামলার চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
যশোর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী জানান, নিহত মামুন ছাত্রলীগ কমীর্ ছিল। কারা কী কারণে তার উপরে হামলা চালিয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে তিনি হামলাকারী যেই হোক, তাদের আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন।