বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ইবিতে ইনডোর গেমসে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি

যাযাদি ডেস্ক
  ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:২৭
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আন্তঃবিভাগীয় ইনডোর গেমস চলাকালীন শনিবার দুপুরে জিমনেসিয়ামে দুই বিভাগের শিক্ষাথীের্দর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে Ñযাযাদি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আন্তঃবিভাগীয় ইনডোর গেমস চলাকালীন দুই বিভাগের শিক্ষাথীের্দর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদশীর্ সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে আন্তঃবিভাগীয় ইনডোর গেমসের ব্যাডমিন্টন ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং এবং ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিই) বিভাগ অংশ নেয়। খেলা শুরুর পর থেকেই উভয় বিভাগের শিক্ষাথীর্রা একে অপরকে ¯েøজিং করতে থাকে। মাঠে আইসিই বিভাগের শিক্ষাথীর্ এবং ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষকরা দক্ষিণ পাশে অবস্থান করে এবং ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষাথীর্রা উত্তর দিকে অবস্থান করে। খেলা চলাকালীন সময় আইসিই বিভাগের শিক্ষাথীের্দর চিৎকার-চেঁচামেচি ভালোভাবে নেয়নি ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষকরা। এ সময় ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বখতিয়ার হাসান আইসিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জসিম উদ্দিনকে ডেকে শিক্ষাথীের্দর থামাতে বলেন। শিক্ষক জসিম উদ্দীন প্রাথমিকভাবে নিজেদের শিক্ষাথীের্দর চুপ করতে বললেও পরবতীের্ত তিনি আর শিক্ষাথীের্দর থামাতে পারেননি। ক্রমাগত ¯েøজিং চলতে থাকলে। এক সময় উভয় বিভাগের শিক্ষাথীের্দর মধ্যে সংঘষের্ রূপ ধারণ করে। অপরদিকে আইসিই বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবষের্র শিক্ষাথীর্ রেজা ফিন্যান্স বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবষের্র প্যারিসকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করতে থাকে। কথা কাটাকাটির একপযাের্য় তাদের পাশে থাকা উভয় বিভাগের শিক্ষাথীের্দর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে উভয় বিভাগের শিক্ষক ও শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কমর্কতাের্দর সহায়তায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। পাশাপাশি খেলা স্থগিত রাখে শারীরিক শিক্ষা বিভাগ। এ নিয়ে ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বখতিয়ার হাসান বলেন, ‘আইসিই বিভাগের শিক্ষাথীর্রা আমাদের কাছে এসে উচ্চস্বরে চেঁচাতে থাকে। বিষয়টি আমি আইসিই বিভাগের শিক্ষকদের কাছে জানালেও তারা কণর্পাত করেননি। যার কারণে শিক্ষাথীর্রা উত্তেজনাবশত এই অবস্থা তৈরি করে ফেলে।’ এ বিষয়ে ইনফরমেশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জসিম উদ্দীন বলেন, খেলা চলাকালীন সময় উত্তেজনাবশত চিৎকার-চেঁচামেচি হয়েই থাকে। শিক্ষাথীের্দর এই চেঁচামেচি সাধারণত বন্ধ করা যায় না। এ নিয়ে ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষকরা আমাদের জানালে আমরা শিক্ষাথীের্দর থামানোর চেষ্টা করি। এরপরও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া ফিন্যান্সের শিক্ষাথীর্রা আমাদের কয়েকজন শিক্ষাথীের্ক মারধরও করেছে। পরে সবাই মিলে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে