শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শিবিরের সাবেক সভাপতি মঞ্জুকে জামায়াত থেকে বহিষ্কার

খানসামায় জামায়াত নেতার পদত্যাগ
যাযাদি রিপোটর্
  ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:২৮
মজিবুর রহমান মঞ্জু

জামায়াতে ইসলামীর দলীয় সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জুকে। শনিবার নিজের ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে মঞ্জু নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মজিবুর রহমান লিখেন, ‘গতকাল ১৫ ফেব্রæয়ারি শুক্রবার আনুমানিক রাত সাড়ে ৭টার দিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মকবুল আহমদের পক্ষ থেকে নিবার্হী পরিষদের একজন সদস্য আমাকে জানান যে, আমার দলীয় সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।’ স্ট্যাটাসে তিনি দাবি করেন, বেশ কয়েক বছর যাবৎ সংগঠনের কিছু বিষয়ে তিনি দ্বিমত পোষণ করে আসছিলেন। মৌখিক ও লিখিতভাবে বৈঠকগুলোতে তিনি প্রায়ই দ্বিমত ও পরামশের্র কথা দায়িত্বশীলদের জানিয়েছেন। ১৯৮৮ সালে ছাত্রশিবিরে যোগদাকারী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মজিবুর রহমান পরবতীর্ সময়ে শিবিরের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হন। তিনি বন্ধ হয়ে যাওয়া দিগন্ত টেলিভিশনের উপনিবার্হী পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। প্রসঙ্গত, এর আগে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়ার এবং দল বিলুপ্তির পরামশর্ দিয়ে জামায়াতে ইসলামী থেকে পদত্যাগ করেন ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। তিনি দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন। একজন জ্যেষ্ঠ নেতার পদত্যাগে জামায়াত যখন বিব্রত তখনই আরেক নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত এলো। খানসামায় জামায়াত নেতার পদত্যাগ খানসামা (দিনাজপুর) সংবাদদাতা জানান, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পল্লী চিকিৎসক ও জামায়াত নেতা বখতিয়ার উদ্দীর দল থেকে পদত্যাগ করলেন। তিনি ইসলামী ছাত্রশিবির নীলফামারী শাখা জেলার সাবেক সভাপতি ও ভেড়ভেড়ী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। খানসামা উপজেলা জামায়াতের আমির বরাবর পদত্যাগপত্রে বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘১৯৯০ সালে আমি জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করি। ১৯৭৭ সালে আমার জন্ম হওয়ায় স্বাধীনতার বিষয়ে আমার অষ্পষ্টতা থেকে যায়, যা এই দলের নেতৃবৃন্দ আমাকে বুঝিয়েছিলেন। কিন্তু গত ১৫ ফেব্রæয়ারি জামায়াতে ইসলামীর জয়েন্ট সেক্রেটারি ব্যারিস্টার আ. রাজ্জাকের পদত্যাগপত্র বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখে এ বিষয়টি প্রতীয়মান হয় যে, জামায়াতে ইসলামী ১৯৭১ সালে সরাসরি স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। তার বক্তব্যে আমার এতোদিনের ভুল ভেঙ্গে যায় এবং বিশ্বাস হয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতাবিরোধী দল। তাই আমি স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে এ দলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারি না। সুতরাং আমি জামায়াতে ইসলামী ও এর সব অঙ্গসংগঠনের সব সদস্য পদ হতে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম এবং জামায়াতে ইসলামীকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরামশর্ দিলাম।’ খানসামা উপজেলা আমির আবদুল্লাহ আল কাফী এ বিষয়ে বলেন, ‘পদত্যাগ করার জন্য রোকন হতে হয়। আর আমি এ ব্যাপারে শুনেছি, তবে এখনো পদত্যাগপত্র পাইনি।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে